যশোরের শার্শা ও বেনাপোল পৌর এলাকায় মৌসুমের আকস্মিক ঝড়-বৃষ্টিতে আম চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত তিন দিনে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের সাথে ঝড় ও মুসলধরে শিলা বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ গাছের মুকুল ঝরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ায় মাথায় হাত উঠেছে আম চাষিদের।
গত সোমবার ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ও ঝড় সাথে শিলাবৃষ্টি বুধবার সকাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়। সাথে হয়েছে বজ্রপাতও। এর সাথে আবার থেমে থেমে হয়েছে দমকা ঝড় ও বৃষ্টি। এছাড়া সারাদিন গুড়িগুড়ি বৃষ্টি তো লেগেই ছিলো। এতে করে আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। আর বৃষ্টি শুরুর পর থেকেই পুরো উপজেলার এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ ত্রুটি দেখা দিয়েছে। যা স্বাভাবিক হতে লাগবে অনেকটা সময়।
এদিকে শিলাবৃষ্টির আঘাতে শার্শা বাগআঁচড়া, নাভারন, বেনাপোল, গোগা, কায়বা, উলাশিসহ পাশ্ববর্তী শংকরপুর অঞ্চলে আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝরে পড়েছে গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে মুকুল। তবে আমের মুকুলের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা না গেলেও এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয় আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
গত ৩দিনের বৃষ্টি, ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আঘাতে আমের মুকুল ঝরে পড়ায় চরম লোকসান গুণতে হবে বলে জানালেন স্থানীয় আমচাষী বাবলুর রহমান।তিনি জানান, আম গাছে মুকুল যে পরিমাণ এসেছিল, তাতে অন্যান্য বছরের লোকসান অনেকটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হতো। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টির কারণে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শৌতম কুমার শীল জানান, গত মৌসুমে শার্শা উপজেলায় ২৫০হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছিল যা এবার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৩৭০ হেক্টর জমিতে। শিলাবৃষ্টি ও হালকা ঝড়ো বাতাসে আমের মুকুলের পাশাপাশি এই এলাকার কুল, গম, ডাল, সরিষা, নাবিজাতের আলুর ক্ষতি হয়েছে। তবে এ বৃষ্টি বোরো ধানের জন্য আশীর্বাদ। শিলা বৃষ্টির কারণে আমের মুকুল শতকরা ৩০ ভাগ নষ্ট হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার