যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইছাপুরে রহিমা বেগম (৫০) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের মামলায় ৩ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে নিহতের পুত্রবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার পৃথক মামলায় একই আসামিদের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।
একই সঙ্গে জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এনামুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমএ রব হাওলাদার এই রায় দেন।
মামলার আসামিরা হলেন, সাইদুল ইসলাম (২৬), জাহিদ (২৬) ও কুদ্দুস (২৭)। তাদের বাড়ি যশোরের দেয়াড়া ইছাপুর এলাকায়।
২০১৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে নববিবাহিতা পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে শ্বাশুড়ি রহিমা বেগম বাধা দেন। এ সময় আসামিরা রহিমা বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে লিটন বাদী হয়ে যশোর কোতয়ালী থানায় অভিযোগ করেন।
পরে ওই ঘটনায় ধর্ষণ চেষ্টা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আলাদা দু’টি মামলা হয়।
২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সিআইডি’র তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ অভিযোগপত্র আদালতে দায়ের করেন। মামলার রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম