ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বুধবার ভোর রাতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৪ জন অসুস্থ হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। গুরুতর অসুস্থ চানবানু (৫৫), আকলিমা আক্তার (৩০), জহুরা বেগম (৬০) ও আউলিয়া বেগম (৬৫) কে উদ্ধার করে মাধবপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
প্রত্যক্ষদশীরা জানান, বুধবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল কাইউম মাস্টারের ৩দিন ব্যাপী ওরশের প্রথমদিন গুমুটিয়া গ্রামের কাফেলার ভিতর অজ্ঞান পার্টির একটি সংঘবদ্ধ দল ৪ জনকে চা-রুটি খাওয়ালে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এসময় তাদের সাথে থাকা স্বর্ণ চেইন, চুড়ি, কানের দুলসহ স্বর্ণ অলংকার নিয়ে পালানোর সময় লোকজন ধাওয়া দিয়ে অজ্ঞান পার্টির সদস্য আকলিমা বেগম (৪০) কে আটক করে। তার বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর গ্রামে।
কাফেলার সভাপতি সেলিম মিয়া বলেন, ভোরে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা চা-রুটির সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য দিয়ে অজ্ঞান করে সব কিছু লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ওই চক্রের একজন আটক করা হয়।
ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ওসি আ.স. ম. আতিকুর রহমান বলেন, আহতরা চিকিৎসাধীন। তারা সুস্থ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় ডাকাত দলের হামলায় মোশাহিদ উল্লাহ্ রফিক (২৮) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের পানিশ্বর দক্ষিণ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রফিক পানিশ্বর শোলাবাড়ির আব্দুল আজিজের ছেলে। এ ঘটনায় রফিকের ভাই মোস্তাককও (২৮) আহত হয়েছেন। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভোররাতে ৮/১০জন মুখোশ পরিহিত একদল সশস্ত্র ডাকাতদল পানিশ্বর দক্ষিণ বাজারে রফিকের মালিকানাধীন বিসমিল্লাহ্ স্টোরে হানা দেয়। এসময় দোকানে ঘুমিয়ে ছিল মোশাহিদ উল্লাহ রফিক ও তার ভাই মোস্তাক। প্রথমে ডাকাতরা দোকানের কলাপসিবল গেইটের ৩টি তালা ভাংচুর করে দোকানের সাটার ভাঙার চেষ্টা চালায়। সাটার খুলতে না পেরে ডাকাতরাবল্লম দিয়ে রফিক ও মোস্তাককে আঘাত করে। জেলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে রফিকের মৃত্যু হয়।
পানিশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন জানান, ডাকাতদের ধরার জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা