দেশে আমদানি নির্ভর মসলা স্থানীয়ভাবে চাষ করে চাহিদা মেটাতে বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্রে ইনসেপশন ওয়ার্কসপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ হল রুমে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া-১ আসনের এমপি কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান।
এসময় তিনি বলেন, ক্ষুধামুক্ত ও পুষ্টিমান যুক্ত খাদ্যের জন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে কৃষির বিকল্প নেই। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করে দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে হবে। উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উৎপাদিত পণ্য আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। তাহলে আমাদের আর কোনকালেই সংকট হবে না।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুন্ড্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. একেএম আজাদ-উদ-দৌল্লা প্রধান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো: আব্দুর রহিম, সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাদারা মান্নান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: শফিকুল ইসলাম।
বাংলাদেশ মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় এই ওয়ার্কসপ অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্কসপের আলোচকরা জানান, চাহিদার কারণে কিছু বিদেশি মসলা দারুচিনি, গোলমরিচ, ছোট এলাচ, লবঙ্গ, জিরা, আলুবোখারা জয়ফল ইত্যাদি আমদানি নির্ভর। এই অমদানি করতে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যায় করতে হয়। আমদানী খরচ কমাতে এই মসলাগুলোর গবেষণায় সফল হয়ে চাষ ও ফলন বৃদ্ধি করতে হবে। মসলা ও মসলা দ্রব্যের চাহিদা মেটাতে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম আরো জোরদার করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
