স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন উপলক্ষ্যে নাটোরের মাধ্যমিক স্কুল ও দাখিল মাদ্রাসায় উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলার ৪৯৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোটগ্রহণ করা হয়।
শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা, সকলের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার বাড়ানোর উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সারাদেশে আজ চতুর্থবারের মত একযোগে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নাটোর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যুগপৎভাবে প্রভাতী ও দিবা শাখার ভোটগ্রহণ করা হয়। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের ভোট দিতে দেখা যায়। ভোটের প্রার্থী ছাড়াও ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই। দিবা শাখার প্রধান নির্বাচন কমিশনার তৃষা রায় জানায়, প্রতিটি শ্রেণি কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনে পাঁচটি শ্রেণিতে ১২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ভোট গণনা শেষে প্রতি শ্রেণি থেকে একজন করে বিজয়ী প্রার্থী এবং পাঁচটি শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত অপর দুইজনের নাম ঘোষণা করা হবে। সাত সদস্যের কেবিনেট আগামী এক বছরের জন্যে নির্বাচিত হবে।
নির্বাচনের প্রার্থী প্রভাতী শাখার দশম শ্রেণির ছাত্রী সুকৃতি আল ফারাবী জানায়, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে। নির্বাচনে ৬০ ভাগ ছাত্রী ভোট দিয়েছে। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী অপর প্রার্থী দিবা শাখার দশম শ্রেণির ছাত্রী নজরানা মেহবুব ময়ুরাক্ষী বলে, নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো কেবিনেটে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করবো।
নাটোর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন জানান, এক সপ্তাহ আগে ঘোষিত তফসিলে বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ করা হলো। গত এক সপ্তাহ ধরে সমাবেশে ও ক্লাসে ক্লাসে প্রার্থীদের প্রচারনায় মুখর ছিল বিদ্যালয়ের আঙিনা।
নাটোর সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, নেতৃত্বের বিকাশ ও গণতন্ত্রের চর্চার পাশাপাশি বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে স্টুডেন্ট কেবিনেট সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন, স্টুডেন্ট কেবিনেটের কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ