ডাকাত সন্দেহে যশোর পুলিশের হাতে আটক ১১জনের একজন ওহিদুজ্জামান বাবু। সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার নকিপুর গ্রামের মনিরুদ্দিনের ছেলে বাবু সাংবাদিকদের কাছে বলেন, 'গত ছয় মাসে যশোরের কুয়াদা, খুলনার চুকনগর ও যশোরের মণিরামপুর-রাজগঞ্জ সড়কে মোট পাঁচটি ডাকাতির ঘটনায় আমি জড়িত ছিলাম। আমি ভুল করেছি। আমি অনুতপ্ত। ক্ষমা চাই।'
বাবু বলেন, তিনি আগে সাতক্ষীরার একটি হোটেলে কাজ করতেন। সেখানে আলমগীর নামে একজনের সাথে তার পরিচয় হয়। সেই আলমগীরই তাকে ডাকাতির পথে নামায়।
ডাকাত সন্দেহে পুলিশের হাতে আটক অন্যরা হলেন শাহিনুর, শহিদুল গাজি, ধনিরাম দাস, আসলাম বিশ্বাস, আলম হোসেন ইমরান, মিজানুর রহমান মিন্টু, আজিবর গাজী ও বাবর আলী শেখ।
মঙ্গলবার বিকেলে যশোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার আটকদের পরিচয় নিশ্চিত করেন। একইসাথে তিনি ভোররাতে দু’দল ডাকাতের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের পরিচয়ও সাংবাদিকদের জানান।
সদর উপজেলার নোঙ্গরপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ওই ব্যক্তির নাম আবুল কাশেম (৫১)। তিনি মণিরামপুর উপজেলার শোলাপুর গ্রামের কলিমুদ্দিনের ছেলে।
সালাউদ্দিন শিকদার বলেন, ভোর তিনটার দিকে যশোর-মাগুরা সড়কের নোঙ্গরপুর মাজারের পাশে দুই দল ডাকাতের মধ্যে গুলি বিনিময় হচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। এসময় ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। পুলিশও তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে ডাকাতরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আবুল কাশেমকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হাসুয়া, দড়ি, লাঠি উদ্ধার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, এরপর ওই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মণিরামপুর উপজেলার ইত্তা মাঠপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলামকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তি ও প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অন্যদের আটক করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল