শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দেয়া আগুনে দগ্ধতার যন্ত্রণায় ৫দিন ধরে ছটফট করে বাঁচার জন্য পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন পাবনার আমিনপুর থানার তালিমনগর গ্রামের গৃহবধূ ফজিয়া খাতুন। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত ফজিয়া খাতুন তালিমনগর গ্রামের ছুরমান মন্ডলের স্ত্রী।
বুধবার আমিনপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম মঈনুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ছুরমান মন্ডল কয়েক বছর ধরে মালয়েশিয়া থাকেন। সেখান থেকে তিনি প্রতি মাসে তার বোন সামেলা খাতুনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান। ননদ সামেলা খাতুন প্রতি মাসে মাত্র ৩ হাজার টাকা করে দেন তার ভাবী ফজিয়া খাতুনকে। কিন্তু অল্প টাকায় সংসার চালানো সম্ভব না হওয়ায় শাশুড়ি-ননদ, ভাসুর ও জায়ের সাথে কলহ দেখা দেয় প্রবাসী স্বামীর স্ত্রী ফজিয়া খাতুনের।
পরে এ নিয়ে গেল ৯ মে ভোরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাশুড়ি, ননদ ও ভাসুরের বউ মিলে ফজিয়া খাতুনের শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মারা যান গৃহবধূ ফজিয়া খাতুন।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধুর বাবা ফজিবুর রহমান বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ননদ সামেলা খাতুনকে গ্রেফতার করলেও অন্য আসামিরা এখনো পলাতক রয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম হোসেন জানান, আগুনে দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যুর কারণে মামলাটিতে একটি ধারা যুক্ত হয়ে হত্যা মামলায় রুপান্তর করা হবে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক