কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্স তানিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডের স্বর্ণলতা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার রফিকুল ইসলাম রফিক।
বুধবার বিকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুনের আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন তিনি। ধর্ষণের পর হত্যার এই জবানবন্দি গ্রহণের পর বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কাউন্টার মাস্টার রফিকুল ইসলাম তার জবানবন্দিতে ধর্ষণ ও হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদের নাম বলেন এবং তানিয়াকে কিভাবে বাস থেকে নামিয়ে কটিয়াদী হাসপাতালে নেওয়া হয় এরও বিবরণ দেন। তবে ধর্ষণ ও হত্যার সাথে নিজে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
এদিকে মামলার অপর দুই আসামি কটিয়াদী উপজেলার ভোগপাড়া গ্রামের খোকন মিয়া ও বাজিতপুর উপজেলার নীলক্ষ্মী গ্রামের বকুল ওরফে ল্যাংড়া বকুলকে ৮ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ মে রাতে চলন্ত বাসে নার্স তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বাহেরচর গ্রামের নিজ বাড়িতে যাবার পথে ঘটনাটি ঘটে। ঐদিন রাতেই পুলিশ বাসের চালক নুরুজ্জামান ও হেলপার লালন মিয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক