স্ত্রী-সন্তানকে নিজের পৈত্রিক বাড়িতে নিতে চাওয়ায় জামাতা সজিব বেপারীকে শিকলে বেঁধে মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাশুড়ি রহিমা বেগমের বিরুদ্ধে।
শনিবার বিকেলে বরিশাল নগরীর কাজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ জামাতা সজিবকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত শাশুড়ি রহিমাকে আটক করে। পরে সমঝোতার মাধমে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
বরিশালের মুলাদী উপজেলার মৃধার হাট গ্রামের কামাল বেপারীর ছেলে সজিব এক বছর পূর্বে রহিমার মেয়ে বৃষ্টিকে বিয়ে করেন।
সজীব জানান, বিয়ের পর থেকেই তার স্ত্রী বৃষ্টিকে তাদের বাড়ি রেখে দেয় শাশুড়ি রহিমা বেগম। ইতোমধ্যে তাদের সংসারে একটি সন্তান হয়। এ কারণে বিভিন্ন সময় সজিব তার স্ত্রীকে নিজের বাড়ি নিতে চাইলেও কোনোভাবেই অনুমতি দিতেন না শাশুড়ি রহিমা বেগম। এভাবে এক বছর কেটে যায়।
এদিকে গত শনিবার দুপুরে বৃষ্টি ও সন্তানকে বাড়ি নিয়ে যেতে শ্বশুর বাড়ি যায় সজিব। সজিব কঠোরতা অবলম্বন করলে ক্ষুব্ধ হন তার শাশুড়ি। এক পর্যায়ে সে স্ত্রী-সন্তান না নিয়ে বাড়ি ফিরবে না বলে জেদ ধরে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাশুড়ি তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এক পর্যায়ে তাকে আটক করে লোহার শিকলে বেঁধে ফেলে। শিকল দিয়ে বাঁধায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তার স্ত্রীও শাশুড়ির কাছে অসহায় হয়ে যায়।
পরে বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সজিবকে উদ্ধার এবং শাশুড়িকে আটক করে।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, মেয়ের জামাইকে নির্যাতনের কারণে শাশুড়ি রহিমা বেগমকে আটক করা হয়েছিল। পরে বিষয়টি সমঝোতা করে রহিমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন