বরিশালের মুলাদীতে কলেজছাত্রী ফারজানা মিমকে (১৬) গণধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ফারজানা মিম নিজেই বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে মুলাদী থানায় ৬ বখাটের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলো- দক্ষিণ বালিয়াতলী গ্রামের আজিজুল সরদার (১৯), সাগর বেপারী (১৮), সালাউদ্দিন বেপারী (১৮), কাওছার বেপারী (২০), ব্রজমোহন গ্রামের মো. রাজিব সরদার (২৪) এবং ফয়সাল সরদার (২১)।
ফারজানা মিম পূর্ব তয়কা এলাকার ফিরোজ হাওলাদারের মেয়ে এবং সফিপুর গ্রামের সৈয়দ বদরুল হোসেন ডিগ্রী কলেজে এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্রী।
গত শনিবার সকালে বাড়ি থেকে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পায়ে হেটে সফিপুর খেয়াঘাটে এসে দেখেন ট্রলার ছেড়ে গেছে। নদীর পাড়ে খেয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি। এ সময় তাকে দেখে ট্রলার ঘাটে আজিজুল, সাগর, সালাউদ্দিন, কাওছার, রাজিব ও ফয়সাল সরদার এগিয়ে আসে। তাদের দেখে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে তারা তাকে ঘিরে ধরে।
এ সময় আজিজুল তার হাত ধরে টানা হেচড়া শুরু করে। তারা তাকে টেনে পাশ্ববর্তী পরিত্যক্ত একটি বসতঘরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আজিজুলসহ অন্যান্যরা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার চিৎকার শুনে হুমায়ুন সরদার নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি এগিয়ে আসে। এ সময় আজিজুলের সঙ্গে হুমায়ুনের কথা কাটাকাটি ও তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ঝগড়ার আওয়াজ পেয়ে স্থানীয় কুদ্দুস নামের আরো এক ব্যক্তি এগিয়ে আসে সেখানে।
এক পর্যায়ে আজিজুল ও তার সহযোগিরা হুমায়ুন সরদার ও কুদ্দুসকে মারধর শুরু করে। তারাও পাল্টা কিল-ঘুষি মারতে থাকে। হুমায়ুন সরদার ও কুদ্দুসের সঙ্গে পেরে না ওঠায় আজিজুল ও তার দুই সহযোগি সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
ফারজানা মিম জানান, এরপর হুমায়ুন সরদার ও কুদ্দুস আমাকে বাড়ি পৌছে দেন। পরে ওই রাতেই তিনি নিজে বাদী হয়ে আজিজুল ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেন।
মুলাদী থানা পুলিশের ওসি জিয়াউল আহসান জানান, ঘটনার পর থেকেই আসামিরা আত্মগোপনে রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার