বাড়ির ভেতরে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয়া একটি কলা গাছ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে একটি দ্বিতলা বাড়ির ছাদ ছুঁয়েছে। আবার এ গাছে ফলও ধরেছে বেশি পরিমাণে।
দিনাজপুর শহরের কালিতলায় সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক রতন কুমার রায়ের বাড়ির আঙ্গিনায় জন্ম নিয়েছে এই কলা গাছটি।
এদিকে সন্ধান পেয়ে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু বিশালাকার এ কলা গাছটি দেখতে ছুটে যান দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. দেলোওয়ার হোসেনসহ শিক্ষার্থীরা। এখন গাছটির উচ্চতা ও ফল দেখতে ভিড় করছেন আশপাশের মানুষ।
বাড়ির মালিক ও সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার রায় জানান, কয়েকবছর আগে বাড়ির আঙ্গিনায় গাছটি প্রাকৃতিকভাবে জন্মেছে। বেশ কয়েকবার পর্যায়ক্রমিক ফল দেয়ার পর এটি পরবর্তী প্রজন্ম। গাছটিতে কলার মচা এসেছে এবং উপরের দিকে কলা আসতে শুরু করেছে। কলা গাছের কন্দ থেকে বেশ কয়েকটি চারা গাছও বের হয়েছে।
সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের এমএসসির শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক হোসেন জানান, গাছটি থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গাছটির অস্বাভাবিক বৃদ্ধিজনিত কারণ নির্ণয়ে শিক্ষকসহ আমরা কাজ শুরু করেছি।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এবং উদ্ভিদ গবেষক সহকারী অধ্যাপক মো. দেলোওয়ার হোসেন জানান, Musaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এ কলাগাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Musa SP।
তিনি জানান, এ কলার আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেই। এ কলা গাছ মূলত বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ এবং এর ৫০টির মত প্রজাতি আছে। বাংলাদেশে ১৯ টি প্রজাতি জন্মায়। এই প্রজাতিটির নাম বীজ কলা। এটি দিনাজপুরের আঞ্চলিক ভাষায় আটিয়া কলা হিসেবে পরিচিত। পাখির দ্বারা ফল থেকে বীজ বাড়ির আঙ্গিনায় পড়ে গাছটির জন্ম হয়ে থাকতে পরে বলে তিনি ধারণা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও জানান, কলা গাছটির উচ্চতা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি জনিত কারণে ঘটেছে। পার্শ্ববর্তী ভবনের ছায়ায় পর্যাপ্ত আলোর অভাবে এমনটা ঘটে থাকতে পারে। তবে এ ধরণের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন