রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে দ্বিতীয় দিনের মত সব ধরণের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করাসহ অনিদিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে ইর্ন্টান চিকিৎসকরা। পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে নার্স-ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। ফলে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন নার্স, ইন্টার্ন চিকিৎসক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। চরম দুভোর্গে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনেরা। আজ বুধবার সারা দিন চিকিৎসা সেবা না পেয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা।
এদিকে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং নার্স ও ইন্টার্ন চিকিৎসকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে সকালে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের সম্মুখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানব-বন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন থেকে পাঁচ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব ধরণের ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে এক রোগীকে ইনজেকশন দেওয়ার সময় একজন নার্সের হাত থেকে কয়েক ফোঁটা (ডিস্টিল ওয়াটার) পানি এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের শরীরে ছিটকে পড়ে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্য বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে ঘটনার মীমাংসা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ওই ঘটনার জের ধরে নার্সদের একটি গ্রুপ তাদের ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নার্স ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ নিয়ে পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে। বিষয়টি সমঝোতায় আনতে মঙ্গলবার দুপুরে ইন্টার্ন চিকিৎসক, স্টাফ নার্সদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শাহাদৎ হোসেন ও রমেক'র অধ্যক্ষ ডা. নুরুন্নবী লাইজুসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে সমঝোতা বৈঠক বসে। দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা বৈঠকটি কোনো সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়।
বুধবার আবারও বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ৩টা পর্যন্ত বৈঠক শুরুর কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, ডাঃ মোঃ শাহদাত হোসেন বলেন,হাসপাতালে ইন্টান ডাক্তার ও নার্সের মধ্যে একটি ঘটনা ঘটেছে যারা এটার সাথে জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ