১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৮:৩৬

শিবচরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-ভাঙচুরের ঘটনায় আটক ২২

মাদারীপুর প্রতিনিধি:

শিবচরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-ভাঙচুরের ঘটনায় আটক ২২

মাদারীপুর জেলার শিবচরের কুতুবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-ভাঙচুরের ঘটনায় ২২ জনকে আটক করা হয়েছে। 

সোমবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর অভিযান চালিয়ে রাতে ঘটনাস্থল ও আশপাশ থেকে এদের আটক করা হয়। 

এঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি কাজী জিহাদুল কবির এলাকা পরিদর্শন করেছেন।  

এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, প্রবেশপত্র ও সনদ বিতরণের সময় টাকা নেওয়া, নিয়োগে দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি জানায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। এর আগে শনিবার সকালে বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ-মানববন্ধন করে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে শিক্ষার্থীরা। ওই সময় বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেয় উপজেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে কোন সুরাহা না হওয়ায় সোমবার বিকেলে আবার আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা।

শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয়। এক পর্যায়ে বর্তমান শিক্ষার্থী, সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এক পর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে হট্টগোল শুরু হয়। এসময় বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। রাতে মাদারীপুর পুলিশ লাইন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২২ জনকে আটক করা হয়েছে। 

মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, সোমবার রাতে ঘটনার পর থেকেই আমরা অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি কাজী জিহাদুল কবির স্যার ঘটনার তদন্তে ঘটনাস্থলে আসেন। দিনভর ঘটনাস্থলে ছিলেন। এ ঘটনায় শিবচর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

মাদারীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হয়। মূলত উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা না বুঝেই এ হামলা চালায়।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর