চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আরামপাড়ায় বাল্য বিয়ে পড়ানোর প্রস্তুতিকালে কাজী ও কনের দুলাভাইকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। সোমবার রাত ১১টার দিকে আরামপাড়ার কাজী নাজমুল হক হীরার বাড়িতেই এ বিয়ের প্রস্তুতি চলছিলো। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বাল্য বিয়ের কাজী নাজমুল হক হীরাকে ৪৫ দিন এবং কনের দুলাভাই একই উপজেলা আলুকদিয়া গ্রামের ফরজ আলীকে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এসময় বাল্য বিয়ে করতে আসা নাবালক বর মেহেরপুরের হিজলবাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. শরীফকে (১৫) থানা হাজতে নেয় পুলিশ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান জানতে পারেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার আরামপাড়ায় কাজী নাজমুল হক হীরার বাড়ীতে একটি বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশ ও শহর ফাঁড়ি পুলিশের সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে পৌছে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচলান করেন।
এ সময় বিয়েতে আসা বর ও কনের আত্মীয়-স্বজনরা পালিয়ে যায়। আটক হন বর কনেসহ কনের দুলাভাই ও কাজী। পরে ২০১৭ সালের বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনের ভিন্ন ভিন্ন ধারায় কাজীকে দেড় মাস (৪৫ দিন) এবং ওই কনের দুলাভাইকে এক মাস (৩০ দিন) বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রম্যমাণ আদালতের বিচারক। এদিকে বাল্য বিয়ে করতে যাওয়ার অপরাধে নাবালক বর শরিফকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া স্কুলছাত্রীকে তার পরিবারের জিম্মায় দিয়েছে পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আটক ওই বরের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ