নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে রেকটিফাইড ‘স্পিরিট পানে’ ৬ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ময়না তদন্ত ছাড়া দাফন করা চার ব্যক্তির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আব্দুল খালেক (৭১) ও বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের ওমর ফারুক লিটন (৫০)’র পারিবারিক কবরস্থান থেকে দু’জনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ নিয়ে গত দুই দিনে ৪ জনের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ও পরের দিন সকালে বসুরহাট পান বাজারসংলগ্ন রফিক হোমিও হলের ‘স্পিরিট পানে’ একে একে ৬ জনের মৃত্যু হয়। পরে এ ঘটনায় রফিক হোমিও হলের মালিক সৈয়দ জাহেদ উল্যাহ (৬৫) ও তার ছেলে সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রিয়মকে (২৯) ২৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে স্থানীয় শাহজাহান সাজু নামে এক ব্যক্তি রফিক হোমিও হলের মালিক ও তার ছেলেকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্ত ছাড়া দাফন করায় তাদের মৃত্যুর ৩ মাস ২৫ দিন পর চারজনের লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খান, কোম্পানীগঞ্জ থানার (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক