‘জনসেবার জন্য প্রশাসন’ এ প্রতিপাদ্যে দেশের বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসারগণ নিজেদের দপ্তর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়ে সুনাম অর্জনের পাশাপাশি জনসাধারণের আস্থার প্রতীক হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় এর চিত্র উল্টো।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমন দরজা বন্ধ করে পালন করছেন দাপ্তরিক কার্যক্রম। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সংবাদ সংগ্রহের কাজে গিয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রশ্নফাঁস এবং নকল সরবরাহের সময় পুলিশের হাতে বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে তিন জনকে আটক করা হয়। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের জন্য ইউএনও অফিসে গেলে তার কক্ষে প্রবেশের দুটো দরজা বন্ধ পাওয়া যায়।
অফিসের স্টাফদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় তিন মাস ধরে ইউএনও’র ঘরে প্রবেশের দরজা বন্ধ। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তার ২০২ নং কক্ষের ভেতরে একটি গোপন দরজা দিয়ে ইউএনও’র কক্ষে প্রবেশ করছেন দাপ্তরিক কাজে আসা লোকজন। আর বাইরে ইউএনও’র নেম প্লেট ঝুলানো দরজা বন্ধ এবং অন্যটিতে তালা ঝুলানো।
গোপন দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি চাইলে ইউএনও খায়রুল আলম সুমন জানান, এখন ব্যস্ত আছি। আসা যাবে না। আটক তিনজনকে কি রায় দিলেন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, পুলিশের কাছ থেকে জেনে নিয়েন।
পরে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফেসবুকের মেসেঞ্জারের মাধ্যমে মোবাইলে প্রশ্নপত্র নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল সরবরাহের দায়ে আজিজুর রহমান, মুন্না ও আব্দুল খালেক নামে তিন জনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি হাসিবুল ইসলাম জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরকে মঙ্গলবার বিকালে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিমকে মুঠোফোনে ইউএনও’র দরজা বন্ধের বিষয়ে অবগত করলে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে ইউএনও’র সাথে কথা বলবো।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন