শীতের মাঝে দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান বসেছে পিঠা উৎসব। নতুন নতুন পিঠার স্বাদ নিতে ও দেখতে স্টলগুলেতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
এসময় বিভিন্ন পদের দুই শতাধিক পিঠা দেখে অনেকে মনে করেন কবি সুফিয়া কামাল এর কবিতার লাইনগুলো- ‘পৌষ-পার্বণে পিঠা খেতে বসে খুশিতে বিষম খেয়ে, আরও উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি খেয়ে’।
পিঠা খেতে ভালবাসেন না এমন মানুষ পাওয়া দুস্কর। বাংলাদেশের বিভিন্ন ঋতুতে বিশেষ বিশেষ পিঠা খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে গ্রামবাংলার বিভিন্ন এলাকায়। তবে শীতেই এই পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে বেশি। শীত এলেই যেন বাংলার ঘরে ঘরে পিঠা তৈরির উৎসব শুরু হয়। তবে দিন পাল্টেছে এখন গ্রামের মত শহরেও শীতে সব ধরনের পিঠা পাওয়া যায়।
এখনও দিনাজপুরের গ্রামাঞ্চলে রেওয়াজ রয়েছে বাড়িতে অতিথি এলে কম করে হলেও দু’তিন পদের পিঠা খাওয়ায়। এসব ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
উৎসবে ৩৭টি স্টলে কাঁঠাল বিচির বরফি, চিকেন নাগেট, চুষি পিঠা, গোলাপ পিঠা, নারিকেল গাজরের লাড্ডু, তেল পিঠা, সন্দেশ, মুগ পকন পিঠা, মাছ পিঠা, নারিকেল পুলি, মালপোয়া, দুধ পিঠা, ফুলকপির চপ, চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, পাকয়ান পিঠাসহ দুই’শ প্রকারের পিঠা উপস্থাপন করা হয়।
এই পিঠা উসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম। এসময় জেলা প্রশাসক দিনাজপুরবাসীকে পিঠা ক্রয় করে উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ প্রদান করার আহ্বান জানান।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম