বঙ্গোপসাগরে মালেয়শিয়াগামী রোহিঙ্গাবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় সেন্টমার্টিন ছেড়াদ্বীপের দক্ষিণ পাশ থেকে ভাসমান অবস্থায় তিনদিন পর আরও এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সেন্টমার্টিন সংলগ্ন ছেড়াদ্বীপের দক্ষিণ পাশের সাগরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় এই মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন ষ্টেশন কমান্ডার লে. নাঈম উল হক জানান, অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সময় রোহিঙ্গাবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় চতুর্থ দিনের মতো উদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা। এসময় সেন্টমার্টিন ছেড়াদ্বীপের দক্ষিণ পাশ থেকে পানিতে ভাসমান অবস্থায় আরও একজন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে তার আনুমানিক বয়স ৩২ থেকে ৩৪ বছর হতে পারে। মৃতদেহটির নাম পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। মৃতদেহটি টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের করার জন্য পাঠানোর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গত কয়েকদিনে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এক মহিলার মৃতদেহসহ এ পর্যন্ত ১৬জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩জন নারী ও ৪জন শিশুর মৃতদেহ রয়েছে।
প্রসঙ্গ, গত সোমবার (১০ ফেব্রয়ারি) রাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীয়াপাড়া সাগর উপকূল হয়ে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় সেন্টমার্টিন থেকে ৩ থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল পূর্ব-দক্ষিণে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) সকালে ট্রলারটি পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পানিতে ডুবে যায়। পরে মাছ ধরার জেলেদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
এঘটনায় ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। ভাসমান অবস্থায় ৭২ জনসহ সেন্টমার্টিনের স্থলভাগ থেকে আরো ১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। ট্রলারে ১৩৮ জন যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছে কোষ্টগার্ড। অন্যান্যরা এখনো নিখোঁজ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৮জন দালালকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল