২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৭:৩৪

ভারতীয় পিয়াজ আসার খবরে দাম কমেছে

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ভারতীয় পিয়াজ আসার খবরে দাম কমেছে

ফাইল ছবি

পিয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবরে দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় পণ্যটির দাম কমেছে কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা। শুক্রবার দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর এলাকায় পিয়াজের দাম কমেছে কেজি প্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা। এ কারণে এই অঞ্চলের কৃষকরা তাদের পিয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে বাজারে সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। তাই দামও কমতে শুরু করেছে। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। 

শুক্রবার হিলি বাজারে দেখা গেছে, আমদানি ও দেশীয় দুই জাতের পিয়াজের সরবরাহ রয়েছে। সুখসাগর জাতের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। তবে আমদানি করা বার্মার পিয়াজ একশ’ টাকা থেকে কমে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় মুড়িকাটা পিয়াজ ৮০ টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ভারতীয় কিছু পিয়াজ দেখা যাচ্ছে, যা ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, বৃহস্পতিবারও এসব পিয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, ভারতের রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবর শুনেছি। কিন্তু এখনো ভারত থেকে পিয়াজ আসার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো কাগজপত্র আসেনি। তবে যখনই কাগজপত্র পাওয়া যাবে, সেদিন থেকেই আমদানি শুরু হবে। সকালের দিকে আদেশ হলে সেদিনই বিকালে অথবা পরের দিন এ স্থলবন্দর দিয়ে পিয়াজ আমদানি শুরু হবে। আগামী রবিবার বা সোমবার থেকে পিয়াজ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি শুরু হলে দেশের বাজারে পিয়াজ নিয়ে বিরাজমান অস্থিরতার অনেকটাই কমে যাবে। 

উল্লেখ্য, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশেই নতুন জাতের পিয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এতে দেশটির বাজারে পিয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এর আগে দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ সংকট দেখিয়ে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশে পিয়াজের দাম অনেক বেড়ে যায়। সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমার, মিসর, পাকিস্তান, তুরস্ক, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পিয়াজ আমদানি করে বাংলাদেশ।

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর