ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বন্ধ হল বাল্য বিয়ে। সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে এ বিয়ে বন্ধ হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বর ও কনের পিতাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে একই গ্রামের মো. ফজলু মিয়ার প্রবাসী ছেলে মো: শাহপরান (২৫) এর বিবাহের দিন ধার্য করা হয়। সোমবার বিবাহ হওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। বিয়ে উপলক্ষে কনের বাড়িতে চলছিল অতিথিদের খাওয়ানো পর্ব। ১০৯ নাম্বারে কলের মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদ উল আলম ঘটনাস্থলে পৌছালে বরযাত্রী ও অন্যান্য লোকজন দিকবেদিক পালাতে থাকে। অপ্রাপ্ত বয়সে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া এবং বিয়ে করানোর অপরাধে কনের বাবা মো. আব্দুর রশিদ বেপারীকে ৫০ হাজার টাকা এবং বরের বাবা মো. ফজলু মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়ে বিয়ে দিবেন না মর্মে ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট উভয়েই মুচলেকা দেন। এসময় মেহারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলম মিয়া, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রওনক ফারজানা রুবা, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মো. আবুল খায়েরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উল আলম বলেন, ১০৯ নাম্বারে কলের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়। কনের পিতা এবং বরের পিতাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল