পিতামহের স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে প্রথমে হাড় ভাঙার কবিরাজ। আর পৈত্রিক সূত্রে তিনি এখন হাড় ভাঙার ডাক্তার! বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে রঙিন পোস্টার সাটিয়ে চলে ওই চিকিৎসকের প্রচারণা। গ্রামের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে কয়েকটি চৌকি বসিয়ে হাত-পা ভাঙ্গা রোগীদের শরীরের সাথে বাঁশ, ইটি, লাঠি, কাঁথা-কম্বল ও লতাপাতা বেঁধে চলে তার হাসপাতাল! এতে কোনো কোনো রোগীর শরীরের অঙ্গ আঁকা-বাঁকা হয়ে জোড়া লাগলেও আবার কোনো কোনো রোগীর শরীরে পঁচন ধরে। অঙ্গ কেটে সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন চিকিৎসালয় গড়ে তুলে কয়েক বছর পর উধাও। অবশেষে চান্দিনার কুটুম্বপুরে এসে জায়গা নেয় ওই চিকিৎসক।
সোমবার কুমিল্লার চান্দিনায় আবদুল জলিল (৪৫) নামে ওই কথিত হাড় ভাঙার চিকিৎসককে আটক করে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল জলিল হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর গ্রামের মৃত আবদুল মজিদের ছেলে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নেহাশীষ দাশ কুটুম্বপুর গ্রামের ভাড়া করা বাড়ির ওই চিকিৎসালয় থেকে তাকে আটক করেন।
স্নেহাশীষ দাশ জানান, তার চিকিৎসায় অনেক রোগীর শরীরে পচন ধরে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে তার চিকিৎসালয়ে গিয়ে তাকে আটক করে ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম