৬ এপ্রিল, ২০২০ ১৭:১৯

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২০

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২০

ফরিদপুরের সালথায় উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাগদি বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ১২টি বসত ঘর ও ২২টি দোকান। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গতকাল রবিবার রাতে কাগদি বাজারে মুরগী কেনা-বেচা নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনের সমর্থক হিসাবে পরিচিত কাগদি গ্রামের খায়ের মোল্যার সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফছার উদ্দিন মাতুব্বারের সমর্থক বাতাগ্রামের রকি মাতুব্বারের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ রাতে বাজারের কয়েকটি দোকাপাট ভাংচুর করে। এরই সূত্রধরে আজ সোমবার সকালে আফছার উদ্দিন মাতুব্বারের সমর্থকদের সাথে গিয়াস উদ্দিনের সমর্থকদের সংঘর্ষ শুরু হয়। 

দেশিয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলা, ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে দুই ঘন্টাব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে কাগদি বাজারের ২২টি দোকান এবং কাগদি-বাতাগ্রামের ১২টি বসতঘর ভাংচুর করা হয়। একই সাথে লুটপাট করে নিয়ে যায় বসত ঘর ও দোকানের মালামাল। খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে নগরকান্দা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। 

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফছার উদ্দিন মাতুব্বারের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমূল হোসেন জানান, মুরগী কেনা-বেচা নিয়ে গিয়াস উদ্দিনের সমর্থক খায়ের মোল্যার সাথে রকি মাতুব্বারের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এনিয়ে রাতেই গিয়াস উদ্দিনের সমর্থক হাবিবুর রহমান হবি তার লোকজন নিয়ে আমাদের পক্ষের ৪/৫ টি দোকান ভাংচুর চালিয়ে লুটপাট করে নিয়ে যায়। এছাড়া কাগদি বাজারের আওয়ামী লীগ অফিসও ভাংচুর করে। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন জানান, মুরগী কেনা-বেচা নিয়ে রকি ও খায়েরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আমার লোক খায়ের মোল্যাকে আফছার মাতুব্বারের সমর্থক পিকুল মাতুব্বার মারধর করে। এনিয়ে রাতেই বাজারে সংঘর্ষ বাধে। এরই সুত্রধরে আফছার মাতুব্বারের লোকজন সকালে কাগদি বাজারের আমার সমর্থকদের ২২/২৫টি দোকান ও বসতঘর ভাংচুর চালিয়ে লুটপাট করে নিয়ে যায়। 

সালথা থানার ওসি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকা শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 


বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর