করোনার প্রাদুর্ভাবে টানা সরকারি ছুটিতে নিম্ন আয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে নওগাঁ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে খোলাবাজারে চাল ও আটা বিক্রি শুরু করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৯ জন ডিলারের মাধ্যমে খাদ্যবিভাগ খোলাবাজারে ১০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করছে।
শহরের তুলশিগঙ্গা কাঠালতলী মোড়ের ডিলার আসাদুজ্জামান সাগর বলেন, সকাল থেকে নওগাঁ শহরের তুলশিগঙ্গা কাঠালতলী মোড়, তাজের মোড়, মুক্তির মোড়, আলুপট্টি এলাকায় খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি হচ্ছে। উৎসাহের মধ্যে দিয়ে নিম্ন আয়ের নারী-পুরুষরা তাদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে চাল সংগ্রহ করছে। সপ্তাহে ৩ দিন চাল ও আটা বিক্রি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সপ্তাহে রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার এ চাল ও আটা দিয়ে থাকি। আমার এখানে ১৮০ জন চাল, ১০০ জন আটা পেয়ে থাকেন। মোট ৯০০ কেজি চাল ও ৩০০ কেজি আটা দিয়ে থাকি আমি।
নিরাপত্তা কর্মী নাসরিন আক্তার বলেন, সরকারের এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হওয়ায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অতিদরিদ্র মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এই চাল ও আটা বিক্রি শুরু হওয়ায় এই অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষরা স্বস্তি পেতে শুরু করেছে।
নওগাঁ শহরের তুলশিগঙ্গা কাঠালতলী কেন্দ্রে দায়িত্বরত তদারকি কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) ওয়াহেদুল্লাহ প্রামানিক বলেন, এই কেন্দ্রে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিয়মের মধ্যেই যাচাই করে চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। আশা করছি শেষ সময় পর্যন্ত নিয়মের মধ্যেই চাল বিক্রি করা হবে। কোন প্রকারের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। ডিলার আসাদুজ্জামান সাগরের দোকানে সকাল থেকে রয়েছি। আশা রাখি শেষ পর্যন্ত ভালোভাবেই এই চাল ও আটা বিক্রি সম্পন্ন হবে।
নওগাঁ জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী জানান, খোলা বাজারে ১০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি প্রধানমন্ত্রীর একটি বড় পদক্ষেপ। এখানে কোন প্রকারের অনিয়ম সহ্য করা হবে না।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ