২২ এপ্রিল, ২০২০ ১৬:২৪

ধুনটে তালিকায় নাম থাকলেও বীজ ও সার পায়নি কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

ধুনটে তালিকায় নাম থাকলেও বীজ ও সার পায়নি কৃষক

তালিকায় নাম থাকলেও সরকারি কৃষি প্রনোদনার সার ও বীজ পায়নি বগুড়ার ধুনটের ১০৫ জন কৃষক। তাই খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তাদের। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের সামনে বীজ ও সার না পেয়ে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের অর্ধশত কৃষক এ অভিযোগ করেন।  

জানা গেছে, আগামী মৌসুমে আউশ ধান ও গ্রীষ্মকালীন পিয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচির আওয়ায় পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের ৮শ জন কৃষককে ৫ কেজি করে বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার এবং ১০ জন কৃষককে ২শ গ্রাম পিয়াজের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার ও নগদ ৫৫০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপকারভোগী এসব কৃষকের তালিকা তৈরি করতে পৌর ও ইউনিয়ন কৃষি কমিটি গঠন করেন। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট মেয়র/চেয়ারম্যান সভাপতি, কাউন্সিলর/মেম্বার সদস্য এবং একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ওই কমিটি কৃষি প্রনোদনা দিতে উপজেলার ৮১০ জন উপকারভোগী কৃষক তালিকা চূড়ান্ত করেন। গত ১৯ এপ্রিল থেকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে বীজ ও সার বিতরণ করা শুরু হয়। মঙ্গলবার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত ১০৫ জন কৃষকের মাঝে কৃষি প্রনোদনার বীজ ও সার বিতরণের কথা ছিল। কিন্তু কৃষকরা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও বীজ ও সার পায়নি। 

এ বিষয়ে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের ভুতবাড়ি গ্রামের কৃষক হাবিবর রহমান, পুকুরিয়া গ্রামের শামছুল হক, চাঁন মিয়া ও রঘুনাথপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনসহ অর্ধশত কৃষক বলেন, আমরা গরীব মানুষ। তালিকায় আমাদের নাম থাকলেও সারাদিন খেয়ে না খেয়ে অফিসের সামনে অপেক্ষা করেও বীজ ও সার পাইনি। অফিসাররা তালিকা পরিবর্তন করার কথা বলে সবাইকে ফিরিয়ে দিয়েছে। তাই সবাইকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে খালি হাতেই ফিরে যেতে হয়েছে।

এ বিষয়ে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, প্রকৃত কৃষকদের তালিকা তৈরি করতে মেম্বার ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাথে মাঠ জরিপ করে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে কৃষি অফিসে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কৃষকরা বীজ ও সার না পেয়ে ফিরে এসেছে। 

ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুশিদুল হক জানান, ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নে কৃষি প্রনোদনার বীজ ও সার বিতরণ করতে ইউনিয়ন কৃষি কমিটি ১০৫ জনের তালিকা চূড়ান্ত করেছে পাঠিয়েছেন। সেই তালিকা অনুযায়ী মঙ্গলবার বীজ ও সার বিতরণ করতে ওই ইউনিয়নের কৃষকদের আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নে বীজ ও সার বিতরণ বন্ধ রাখতে বলায় কৃষকদের ফিরে যেতে হয়েছে।

ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন বলেন, ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের কৃষকদের তালিকা তৈরি করতে কিছুটা অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। এ কারণে ওই ইউনিয়নে বীজ ও সার বিতরণ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে তালিকা যাচাই বাছাই করে পরবর্তীতে বিতরণ করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর