করোনার এই মহামারির সময় দেশের একটি মানুষ না খেয়ে থাকেনি উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মহামারির সময় জনগণের দুর্ভোগ লাঘমে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনার কারণে মহামারির এ সময় স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য বিতরণের কারণে দেশের কোনো মানুষ অভাব বোধ করেনি।
তিনি আরও বলেন, মনকে পরিষ্কার করে মানুষের সেবায় উৎস্বর্গীত করলে করোনার হাত থেকে রেহাই পাবেন। তবে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি, ত্রাণ লুণ্ঠন, চাঁদাবাজী, ওষুধের অতিরিক্ত মূল্য আদায়কারীদের ছাড় দেয়া হবে না। মানুষের দুর্ভোগকে পুঁজি করে কেউ লাভবান হতে চাইলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে সতর্ক করে দেন।
হুইপ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায়ে অর্থাৎ গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে প্রচুর বরাদ্দ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই গ্রামীণ উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ায় উন্নয়ন কার্যক্রমে কিছুটা বাধাগ্রস্থ হয়েছে। তারপরও আমরা বিশ্বাস করি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আমাদের গ্রামীণ কার্যক্রম উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।
শুক্রবার দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনাজপুরে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় ৯২টি মসজিদ, মন্দির, বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ৬২টি লাখ ৫৭ হাজার ৬৬৬ টাকা চেক বিতরণ ও এডিপির আওতায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণকালে হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি উপরোক্ত কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দিনাজপুর সদর-৩ আসন (সদর উপজেলায়) সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অংশ হিসেবে মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে টিআরএর মাধ্যমে এ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হলো।
অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাগফুরুল হাসান আব্বাসীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইমদাদ সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর কুমার রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আরা জোস্না, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরুপ বকসী বাচ্চু, শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রায়হান কবীর সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজু প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
