নরসিংদীর শিবপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও বাড়িওলাসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আহত বাড়িওলার মেয়ে কুলসুম মারা গেছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার কুলসুম মারা যায়।
পুলিশ জানিয়েছেন, কাঠমিস্ত্রি স্বামী বাদল মিয়া শিবপুরের কুমড়াদি গ্রামে তাজুল মিয়ার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্ত্রী নাজমা বেগমের মনমালিন্য চলে আসছিল। এর জেরে ধরে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো। এরই মধ্যে রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নিহত নাজমার ঘর থেকে হৈই-চৈই এর শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। শব্দ পেয়ে বাড়িওয়ালা তাজুল ইসলাম, তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও নিহত নাজমা বেগমের ছেলে নাদিমসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এসময় তারা বাদল মিয়াকে নিভৃত করার চেষ্টা তরে। এতে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িওয়ালা ও উপস্থিত লোকজনকে এলোপাথারী কুপাতে থাকে। এতে ৫ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে আনার পর নাজমা ও মনোয়ারা বেগমকে মৃত ঘোষনা করেন চিকিৎসক।
অবস্থার অবনতি হলে তাজুল ইসলাম, তার মেয়ে কুলসুম ও নিহত নাজমার ছেলে সোহাগকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে ওই দিনই তাজুল মারা যায়। ঘটনার পর ৪দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আবুল কালাম বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে অভিযুক্ত বাদল মিয়াও নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসা শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার