নেত্রকোনার পূর্বধলায় পরিচিত যুবকের কাছ থেকে দাদার চিকিৎসার টাকা আনতে গিয়ে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত দুই যুবক লালন ও নুর নবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোরশেদা খাতুন।
তিনি জানান, খবর পেয়ে ভিকটিমকে শনিবার দুপুরে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পরীক্ষা এখন থানায় ডাকা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, এক তরুণী (২২) তার দাদার চিকিৎসার জন্য পূর্বধলা উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে লালন (২৫) এর কাছে টাকা চায়। লালন তার পরিচিত হওয়ায় টাকা দেয়ার আশ্বাস দেয়। পরে শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে লালন ওই তরুণীকে ফোন দেয়। পুর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আসলে ফল কিনে দেবে বলে জানায়। লালনের কথামতো তরুণী আসলে দাদার চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজনের কথা জানায়। পরবর্তীতে লালন ভিকটিমকে টাকা আনতে তার বন্ধু উপজেলার দীঘজান গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে নুর নবীর সাথে বন্ধুর বাসায় পাঠায়। সেখানে তরুণীকে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পরে লালন তার বন্ধুর বাসায় যান। সেখানে প্রথমে লালন তরুণীকে ধর্ষণ করে ও পরে নুরনবী ধর্ষণ করে। এভাবে পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হন ভিকটিম। এরপর ওই রাতেই তরুণী বিষয়টি থানায় এসে পুলিশকে জানায়।
পুলিশ তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করতে সদর হাসপাতালে পাঠায় এবং অভিযুক্ত দের আটক করে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোরশেদা খাতুন আরও বলেন, আমি এখন পূর্বধলা থানায় আছি ভিকটিমের কথা শুনে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবো এবং পরবর্তী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ