করোনার এই সময়েও দিনাজপুরের গ্রামগুলোতে থেমে নেই নবান্ন উৎসব। উঠেছে ঘরে নতুন ধান। নবান্ন উৎসবে আত্মীয় স্বজনদেরকে নিয়ে চলছে বিভিন্ন রকমের পিঠা পুলির উৎসব। আর অগ্রহায়ণ মাস জুড়েই গ্রামবাংলার প্রতি ঘরের চিত্র এটি।
কৃষকের সোনালী হাসির এই নবান্নের স্বাদ কিছুটা হলেও দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলার গ্রামের বাঙালি পরিবারগুলোর মাঝে পাওয়া যাচ্ছে।
শুরু হয়েছে অগ্রহায়ণ মাস। আর পয়লা অগ্রহায়ণ মানেই বাঙালি গেরস্থ বাড়িতে উৎসবের আমেজ। ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। মাঠ থেকে সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা। নতুন ধানের গন্ধে ম ম গৃহস্থের বাড়ি। এখন নতুন ধানের পিঠা, পুলি, পায়েশ রান্নাতে ব্যস্ত গৃহস্থ পরিবারগুলো।
অনেক বাড়িতে দেখা যায়, বাড়িতে মেয়ে-জামাই, আত্মীয়-স্বজনদেরকে নিয়ে আনন্দে মেতে উঠে গৃহস্থ পরিবারগুলো। অনেক এলাকায় জবাই করা হয় গরু-মহিষ। অনেক জায়গায় নবান্নকে ঘিরে চলে পিকনিক। তবে সবচেয়ে আনন্দে মেতে উঠে বাঙালি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারগুলো। পিঠা-পুলির পাশাপাশি নৃত্য ও সঙ্গীতে আত্মহারা হয়ে উঠে তারা।
ঘোড়াঘাটের কানাগাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার বলেন, নবান্নের প্রকৃত স্বাদ কেবল কৃষকরাই পায়। মাসের পর মাস পরিশ্রম করার পর ফসল ঘরে তোলার যে কি আনন্দ, তা বোঝানো যাবে না। আবার নতুন ধানের পিঠা-পুলিতেও থাকে অন্য রকম স্বাদ।
জালালপুর গ্রামের কৃষক পাল্টন হেমরম বলেন, হামরা সারা বছর কৃষানী করে খাই। বছরের এই একটা সময় বেটি-জামাই নিয়ে আনন্দ করি। হামার হেরে বাপ দাদার আমলে আরো বড় বড় আয়োজন হচ্ছিল। এখন তো আর ওগলা হয় না।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন