২৫ নভেম্বর, ২০২০ ২১:১৪

কুমিল্লায় ছাত্রলীগ নেতা হত্যা; দুই বছর অধরা হত্যার প্রধান আসামি

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লায় ছাত্রলীগ নেতা হত্যা; দুই বছর অধরা হত্যার প্রধান আসামি

দেলোয়ার হোসেন

২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনকে গুলিতে করে হত্যা করা হয়। ওইদিন রাতে নিজ বাড়ির কাছাকাছি নগরীর সামবক্সি (ভল্লবপুর) এলাকায় সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলে করে এসে দেলোয়ারকে গুলি করে। 

এ ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই মো.শাহাদাত হোসেন নয়ন বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় একই এলাকার আবদুর রাজ্জাকের ছেলে রেজাউল করিম ও আবুল কালামের ছেলে কাউছারসহ অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি রেজাউলের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলাসহ মোট ৩০টি মামলা রয়েছে। 

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের দুই বছর। তবে এখনো এ হত্যার পরিকল্পনাকারী ও আসামিরা অধরা রয়ে গেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেলোয়ারের পরিবার ও স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেলোয়ার হত্যা মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ। পরে মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। থানা পুলিশের হাতে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে প্রথমে গ্রেপ্তার হয় রেজাউলের সহযোগী সোহাগ এবং পরে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফটার হয় রেজাউলের চাচাতো ভাই শাহাদাত। কয়েক মাস কারাগারে থাকার পর  দু’জনই জামিনে বেরিয়ে আসেন। এছাড়া ঘটনার পর পরই এজাহারনামীয় দুই আসামি ভারতে পালিয়ে যায়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), কুমিলা।

পিবিআই ও কুমিল্লার আদালত সূত্র জানায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর পিবিআইয়ের সদস্যরা এ মামলায় সদর দক্ষিণ থানার নোয়াগ্রাম গ্রামের সফিকুর রহমান রহমানের ছেলে আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতারর করে। আনোয়ার মামলার প্রধান আসামি রেজাউলের বিশ্বস্ত সহযোগী। ওইদিন পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে সে দেলোয়ার হত্যাকাণ্ডের পুরো ঘটনা স্বীকার করে। এরপর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আনোয়ার। 
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আনোয়ার জানায়, দেলোয়ারকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার। এছাড়া মামলার আসামি রেজাউল, চাষাপাড়া গ্রামের মীরন খন্দকারসহ আরও বেশ কয়েকজনের নাম প্রকাশ করে সে। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই, কুমিল্লার পরিদর্শক মো.মতিউর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরপরই রেজাউল ও কাউছার ভারতে পালিয়ে যায়। কিছুদিন আগে গ্রেপ্তার হওয়া আনোয়ার এ হত্যাকাণ্ডেড় বিস্তারিত স্বীকার করেছে। আদালতে দেওয়া তার জবানবন্দির আলোকে আমরা হত্যায় জড়িত খুনিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। 

 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর