৩০ নভেম্বর, ২০২০ ২০:৪৪

শেরপুরে কৃষক লীগের সম্মেলনে দু'পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া:

শেরপুরে কৃষক লীগের সম্মেলনে দু'পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

প্রতীকী ছবি

বগুড়ার শেরপুরে কৃষক লীগের সম্মেলনে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এরমধ্যে গুরুতর ৫ জনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার রাতে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন আলতাদিঘী বোর্ডের হাট এলাকায় কুসুম্বী ইউনিয়ন কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে দু’পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। 

সংঘর্ষে আহতরা হলেন- ওই ইউনিয়নের খিকিন্দা গ্রামের বাসিন্দা কৃষকলীগ নেতা জামিল উদ্দিন, তাঁর বড় ভাই রেজাউল কমির, ছেলে মো. শিমুল আহম্মেদ, মো. রাব্বী, মো. আজিজুল হক। অন্যান্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলেও যাওয়ায় তাদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা লিটন জানান, কুসুম্বী ইউনিয়ন আওয়ামী কৃষক লীগের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় প্রায় চার বছর পর ত্রি বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের জেলা কমিটির সভাপতি আলমগীর বাদশা। আর বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনজুরুল হক মুঞ্জু। 

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন সমাপ্ত হওয়ার পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে কাউন্সিলরদের নিয়ে দ্বিতীয় অধিবেশন কৃষক লীগের উপজেলা কমিটির সভাপতি এসএম আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে শুরু করা হয়। কিন্তু প্রথমেই সভাপতি পদে প্রার্থী জামিল উদ্দীন ও আব্দুর রাজ্জাকের মধ্যে বিরোধ মতবিরোধ চরম আকার ধারণ করে। একপর্যায়ে তাদের দু’জনকে নিয়ে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ সমঝোতায় বসেন। কিন্তু এরইমধ্যে রাজ্জাকের কর্মী-সমর্থকরা জামিল উদ্দীনের সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এমন কি মুহূর্তের মধ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে যায়। একপর্যায়ে কাউন্সিল স্থগিত করে জেলা ও উপজেরার নেতারা সম্মেলনের স্থান ত্যাগ করে চলে আসেন বলে জানান এই কৃষকলীগ নেতা। 

এদিকে হট্টগোল চলাকালে সম্মেলনের মঞ্চ ও বেশকিছু প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি সেখানে অস্ত্রের মহড়াও দেয়া হয়। এছাড়া স্থানীয় লোকজন সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় উভয়পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেছেন। এসব অভিযোগ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর