ঘনকুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বীজতলার চারা বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষকরা। কৃষকরা আমন ধান কাটাই-মাড়াই শেষে এখন বোরো বীজতলা তৈরি ও চারা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কিন্তু টানা কয়েকদিনের ঘনকুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বীজতলা বাঁচাতে বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে ভয়ের আশঙ্কা নেই বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
মাঠে দেখা যায়, বিকালের পর থেকে কুয়াশা পড়তে শুরু হয়। রাতে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায়। সকাল থেকে শুরু করে সূর্যের দেখা পাওয়া পর্যন্ত বোরো বীজতলায় কৃষকরা পরিচর্যা করে। কেউ কেউ বোরো বীজতলা বাঁচাতে চারার উপরে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছে, আবার কেউ চারার উপরে জমে থাকা শিশিরগুলো বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ফেলে দিচ্ছে-যাতে চারাগুলো ভালো থাকে।
এমন কুয়াশা আরো কয়েকদিন থাকলে চারা মরে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এদিকে, এমন পরিস্থিতিতে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। ভয়ের আশঙ্কা নেই বলে কৃষি বিভাগ জানায়।
হাকিমপুরের ছাতনী গ্রামের কয়েকজন কৃষক বলেন, কয়েকদিন থেকে ঘনকুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। বীজতলা বাঁচাতে চারার উপর পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হচ্ছে। এছাড়াও বীজতলার পানি প্রতিদিন বদল করে দিচ্ছি। এতেও যদি বোরো চারা বাঁচাতে না পারি, তাহলে বোরো আবাদ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত চারাগুলো ভালো রয়েছে।
হাকিমপুর উপজেলার কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, হাকিমপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নের কৃষকরা এখন বোরো বীজতলার চারা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে কয়েক দিন থেকে যে ঘনকুয়াশা হচ্ছে, এর ফলে বোরো বীজতলার চারা যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ রেখে আমরা মাঠ পর্যায়ে প্রতিদিন বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত প্রত্যকটি বোরো বীজতলার চারা ভালো আছে। হাকিমপুর উপজেলায় এবার ৩৪০ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই