গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগে আজ সোমবার দুপুরে ওই কারখানার ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে শিল্প পুলিশ ওই শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ করলে তিন শ্রমিক আহত হয়। আহতরা হলেন মো: সানি হোসেন, অছিমা আক্তার ও রোমানা আক্তার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রিপা ও জামানসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক জানান, ওই কারখানার এক লাইনচীফ সোলায়মান বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে রনি নামে এক শ্রমিককে মারধর ও নারী শ্রমিকদের বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করেন। এঘটনাটি অন্যান্য শ্রমিকদের মধ্যে জানাজানি হলে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে লাইনচীফের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানান। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ লাইনচীফের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা না নেওয়ায় শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল রবিবার (১০ জানুয়ারি) কারখানার মূলফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
তারা আরও জানান, এঘটনার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ অনিদিষ্ট কালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন। পরে আজ সোমবার সকালে শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে লাইনচীফ সোলায়মানকে বহিস্কার ও শ্রমিক নির্যাতনের প্রতিবাদে কারখানার মূল ফটকে বিক্ষাভ করেন। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকের ওপর লাঠিচার্জ করলে তিন শ্রমিক আহত হয়। এতে শ্রমিকরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এদিকে, এ ঘটনার খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার নূরে আলম ও টঙ্গী জোনের এডিসি মো: শাহদাৎ হোসেন, টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের কথা শুনে অভিযুক্ত সোলায়মানের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা শান্ত হন।
এ ব্যাপারে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: মাকসুদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কারখানার ভেতরে কোন শ্রমিককে মারধর করা হয় নাই, এটা বাহিরের ঘটনা। শ্রমিকরা বেআইনীভাবে ধর্মঘট করায় কারখানা কর্তৃপক্ষ অনিদিষ্ট কালের জন্য কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ