কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের পাঁচ বছরের শিশু রিফানুল ইসলাম রিফানের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মাছ ধরার বড়শির ছিপ তৈরির সময় দুষ্টুমি করছিলো শিশু রিফান। বিরক্ত হয়ে শাকিল ইট ছুড়ে মারলে তা মাথায় লাগে। ওই আঘাতে মারা যায় শিশু রিফান। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন হোমনা-মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিম। রিফান ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মো.শরীফুল ইসলামের ছেলে এবং বৈদ্যনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্র। শাকিল (২২) একই গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে।
মঙ্গলবার কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ওমরকান্দা ব্রিজ এলাকায় পুরোনো মেঘনা নদী থেকে ওই শিশুর অর্ধলগিত বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। এর দশদিন আগে গত ১২ জানুয়ারি বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়েছিলো শিশুটি। সোমবার রাতে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর এলাকা থেকে শাকিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শাকিল পুরো হত্যাকাÐের বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, সেদিন শাকিল মাছ ধরার বড়শির ছিপ তৈরির সময় দুষ্টুমি করছিলো শিশু রিফান। শিশুটির দুষ্টুমিতে বিরক্ত হয়ে তার দিকে ইট নিক্ষেপ করে শাকিল। ইটটি তার মাথায় লেগে মৃত্যু হয় শিশুটির। তার মৃত্যুর পর হতভম্ব হয়ে যায় রিফান। সে শিশুটির লাশ একটি বস্তায় ভরে রাখে। লাশটি লুকিয়ে রাখে তাদের একটি অটোরিকশার গ্যারেজে। সেখানে ৭/৮ দিন রাখার পর লাশটি থেকে যখন দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করলে তা নিয়ে ফেলে দেয় নদীতে।
মেঘনা থানার ওসি মো.আবদুল মজিদ বলেন, মামলাটি ছিলো একেবারেই ক্লু-লেস। এরপরও আমাদের সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিমের নেতৃত্বে হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে নিরবচ্ছিন্ন তদন্ত শুরু করি। তদন্তে প্রযুক্তির সহায়তাও নেওয়া হয়। সর্বশেষ আমরা খুনিকে শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার