২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০৪:১৭

মাসওয়া এগ্রো লিমিটেডের উদ্যোগে রফতানি হচ্ছে কৃষিপণ্য

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

মাসওয়া এগ্রো লিমিটেডের উদ্যোগে রফতানি হচ্ছে কৃষিপণ্য

বাঁধাকপি উৎপাদনের জন্য উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর সুনাম রয়েছে। প্রতিবছর ভরা মৌসুমে ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ হতেন কৃষকেরা। কখনও কখনও চাষের খরচও তুলতে পারতেন না তারা। কিন্তু সেই দিন বদলাতে শুরু করেছে। বগুড়ার বাঁধাকপি এখন রফতানি হচ্ছে ছয়টি দেশে। এই রফতানিতে ভূমিকা রাখছে দেশের শীর্ষস্থানীয় কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মাসওয়া এগ্রো লিমিটেড। 

তারা নিজস্ব উদ্যোগে কৃষিজাত পণ্য- আলু, মিষ্টি কুমড়া, বাঁধাকপি প্রক্রিয়াজাত ও রফতানিসহ চাষীদের ন্যায্য মূল্য প্রদান, বীজ, সার ও কীটনাশক সরবরাহ করা এবং নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে। ন্যায্য দাম পাওয়ায় আবাদী চাষিরা আরও উৎসাহী হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে ৪০ লাখ টন আলুর চাহিদার বিপরীতে গড়ে প্রায় ৮০ লাখ টন আলু উৎপাদিত হচ্ছে। অবশ্যই এটা শুভ লক্ষণ কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে আমাদের দরিদ্র আলু চাষিরা এর সুফল তেমন একটা পাচ্ছে না, উৎপাদন মৌসুমে আলুর ন্যায্যমূল্য না পাওয়া কিংবা ন্যায্যমূল্যের আশায় বিকল্প হিসেবে কোল্ডস্টোরে সংরক্ষণ করতে না পেরে আলুর চাষিরা অনেক সময় তা পানির দরে বিক্রি করে দেয়। আলু রফতানি বাড়াতে পারলে চাষিদের  এই হাহাকার কমানো সম্ভব।

এ বিষয়ে মাসওয়া এগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আজাদ প্রিন্স বলেন, “তিনি নিজে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হলেও সম্ভাবনা ও বিদেশি বায়ারদের আগ্রহ দেখে ব্যবসায়িক ঝুঁকি নিয়েই বগুড়ার বাঁধাকপি রফতানির কাজ শুরু করেছেন। ২০১৬ সাল থেকে আমরা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, আরব-আমিরাত এ আলু, মিষ্টি কুমড়া ও বাঁধাকপি রফতানি করছি। করোনা পরবর্তী সময়ে আমরা গত ডিসেম্বর থেকে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া বাঁধাকপি রফতানি শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত আমরা ৭০ কন্টেইনার যার ওজন দাঁড়ায় ১৪০০ মেট্রিক টন বাঁধাকপি রফতানি করেছি। আরও ২০ কন্টেইনার ওজন হিসেবে ৪০০ টন। জানুয়ারির শেষ দিকে আলুও রফতানি শুরু করব। গত বছর আমরা প্রায় ১২ হাজার টন আলু রফতানি করেছি। এ বছরে ১৫ হাজার টন আলু রফতানি করতে পারব বলে আশা করছি।’ 

‘উত্তরবঙ্গের বগুড়া, জয়পুরহাট, নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তৃণমূল চাষিদের কাছ থেকে আলু, মিষ্টি কুমড়া ও বাঁধাকপি সংগ্রহ করা হয়। তারপর আমাদের নিজস্ব প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত করে আমরা সেগুলো রফতানি করছি”।

তিনি আরও বলেন, ‘পর্যাপ্ত প্রিকুলিং ব্যবস্থা না থাকায় এবং পণ্য পরিবহনে দীর্ঘ সময় লাগার কারণে রফতানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা গেলে রফতানি বহুগুণে বৃদ্ধি করা সম্ভব।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

 


 


 
  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর