রংপুরের বদরগঞ্জে বাল্যবিয়ের শিকার সুমাইয়া সুলতানা খুশি (১৪) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।বাথরুমের দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে পৌরশহরের জামুবাড়ী পকিহানা খাদিজাতুল কোবরা বালিকা মাদ্রাসায়। বুধবার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পৌরশহরের পকিহানা এলাকার আদুরী বেগম ও মফিজুল ইসলাম দম্পত্তির মেয়ে সুমাইয়া সুলতানা খুশি। গত চার বছর আগে বাড়ির পাশে আবাসিক বালিকা ওই মাদ্রাসায় তাকে ভর্তি করা হয়। ঘটনার দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে খুশি কার সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা বলে কান্নাকাটি করে। পরে ওই মাদ্রাসার ভেতরে বাথরুমে যায় খুশি। সেখানেই সে বেশ কিছু সময় অবস্থান করে। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ডাকাডাকি করলেও সে বের না হওয়ায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়। পরে অন্য মেয়েরা বাইরে গিয়ে জানালা দিয়ে দেখেন গলায় ওড়না পেচানো হাটুগাড়া অবস্থায় সে বসে অচেতন পড়ে আছে। পরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যৃ ঘোষণা করেন।
খুশির স্বজনরা জানায়, ছোট বেলায় বাবা মফিজুল ইসলাম তার মাকে তালাক দিয়ে ঢাকায় চলে যান। গত চার বছর আগে একই এলাকার অন্তু মিয়া নামে এক ছেলের সঙ্গে খুশির বিয়ে হয়। কিন্তু খুশি মাদ্রাসায় আবাসিক হিসেবে থেকে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করছিল।
মাদ্রাসার শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম বলেন, চার বছর আগে খুশির বাল্যবিয়ে হয়। আমাদের ধারণা ওই ছেলের সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা কাটাকাটি নিয়ে সে ক্ষুদ্ধ হয়। ওই ক্ষোভে হয়তো বাথরুমে ঢুকে সে আত্মহত্যা করে।
বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নাজমুল হোসাইন বলেন, মৃত্যৃ অবস্থায় মেয়েটিকে হাসপাতালের নিয়ে আসা হয়। গলায় সামান্য দাগ ছিল।
বদরগঞ্জ থানার এসআই রুহুল আমীন বলেন, ঘটনাটি অনেকটাই রহস্যজনক। মৃতের সঠিক কারণ জানতে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এঘটনায় নিহতের কোন স্বজন এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার