আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্থগিত হওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন। এদিকে, এই ওয়ার্ডের নির্বানকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসের জনপদখ্যাত মর্দানা মহল্লা। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৭০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে ২৪ ককটেলের। এতে কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আতঙ্ক বিরাজ করছে বিচ্ছিন্ন ওই ওয়ার্ডটিতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এই নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী গোলাম আজমের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পানির বোতলের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেমের বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জের ধরে নির্বাচন বানচাল করার জন্য এলাকাটিতে একের পর এক ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই আতঙ্কে দীর্ঘদিন ধরে ৩ শতাধিক পরিবারের পুরুষরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করেছে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী খাইরুল আলম জেম অভিযোগ অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার সমর্থকরা গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এলাকায় প্রবেশ করলে উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী গোলাম আজমের লোকজন অতর্কিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। আমি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে মর্দানা গিয়েছিলাম। কিন্তু প্রচারণা না চালিয়েই এলাকা থেকে ফিরে আসি। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পুলিশের পাশাপাশি এলাকায় র্যাব ও বিজিবি মোতায়েনের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গোলাম আজম। এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, বিগত ৬ বছর ধরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলে আসছে মর্দানা এলাকায়। এ সময় সহিংসতায় ৫ জন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। অসংখ্য বাড়ি ঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। সেখানে বসবাসরত সাধরণ মানুষ সন্ত্রাসীদের ভয়ে মুখ খোলার সাহস পায়না। মুখ খুললেই নেমে আসে ভয়াবহ নির্যাতন। শিকার হতে হয় মামলা ও হয়রানিতে।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি ফরিদ হোসেন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বোমাবাজির ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত