চাঁদপুর শহরের প্রিমিয়ার হাসপাতালে ডা. ফাতেমা খাতুনের ভুল চিকিৎসায় এক প্রসুতির মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। শুক্রবার ঈদের দিন ফরিদগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর দলমগর এলাকার প্রবাসী আলমগীর হোসেন মজুমদারের স্ত্রী লিমা মজুমদার (২৮) বিকাল সাড়ে ৪টায় হাজী মহসিন রোডস্থ প্রিমিয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসক সন্ধ্যা ৬টায় প্রসূতির সিজার করলে একটি ছেলে শিশুর জন্ম হয়। রাত সাড়ে ১০টায় ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। এর পর প্রসূতির মৃতদেহ দ্রুত হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হয়। ওই সময় মৃতের অভিভাবক ও এলাকাবাসী প্রিমিয়ার হাসপাতাল এলাকায় জড়ো হতে থাকে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মডেল থানার এসআই রাসেদুজ্জামান ফোর্স নিয়ে হাসপাতালের সামনে উপস্থিত হন।
উপস্থিত সবাই ভুল চিকিৎসায় প্রসুতির মৃত্যুর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারকে দায়ী করেন। এই হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে প্রায়ই প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ না করে লাশ বাড়ীতে নিয়ে যায়। ওই প্রসূতি পূর্বে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তন্মধ্যে প্রসূতির স্বামী প্রবাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শনিবার বাদ জোহর স্থানীয়ভাবে জানাজা শেষে মৃত লিমাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
প্রিমিয়ার হাসপাতালের মালিক ও এনেসথেসিস্ট ডাঃ মোবারক হোসেন চৌধুরী বলেন, কি কারণে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে তা ডা. ফাতেমা খাতুন বলতে পারবেন। আমি অসুস্থ তাই বিশ্রামে রয়েছি।
এ বিষয়ে ডা. ফাতেমা খাতুন বলেন, অপারেশনের সময় প্রসুতির ব্লাড প্রেসার নরমাল, ইউরিন আউটপুট, এবডুমেন সবকিছু ভালো ছিল। রাত ১০টায় শিশুটির স্বাশকষ্ট দেখা দিলে শিশু বিশেষজ্ঞ দেখালে তিনি ঢাকায় রেফার করেন। শিশুটিকে ঢাকায় প্রেরণের পরপর মা সেন্সলেস হয়ে যায়। এমনকি ২০মিনিটের মধ্যে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে প্রসূতি মৃত্যুবরণ করেন। এখানে অপারেশনজনিত কোন জটিলতা ছিল না। ওটিতে আমার সাথে এনেসথেসিস্ট ডা. মোবারক হোসেন চৌধুরী ও এসিসটেন্ট হিসেবে সোহেল ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল