ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার ভূইগড় এলাকায় অটোরিকশা থেকে ধাক্কা দিয়ে কাভার্ড ভ্যানের নিচে ফেলে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে অটোরিকশা থেকে স্বামীকে ধাক্কা দিয়ে কাভার্ড ভ্যানের নিচে ফেলে দিলে কাভার্ড ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পালিয়ে গেছে ঘাতক স্ত্রী।
রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ফতুল্লার ভুইগড় কড়ইতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। লাশ উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১১টায় ময়না তদন্তের জন্য শহরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ।
পরে সোমবার বিকেলে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জের বাসিন্দা এস এম দুলাল। তিনি ফতুল্লার লালপুরে গাজীর বাড়ি হাওয়া কটেজে ভাড়া থাকতেন।
অটোরিকশার চালক রাসেল জানান, ফতুল্লার শিবুমার্কেট থেকে তার অটোরিকশায় (ইজিবাইক) ওঠেন স্বামী-স্ত্রী। পথিমধ্যে অটোরিকশার ভেতরেই তারা একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া ও হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। এসময় স্ত্রী বলতে থাকেন, তুমি আমার অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করেছ কেন। এসময় স্ত্রী স্বামীকে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কে মাটিতে ছিটকে পড়ে গেলে তাৎক্ষণিক একটি কাভার্ড ভ্যান ওই ব্যক্তিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় স্ত্রী পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, রাসেল নামে এক চালকের ইজিবাইক দিয়ে শিবুমার্কেট থেকে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে দুজন যাত্রী উঠে সাইনবোর্ডের দিকে রওনা করেন। পথিমধ্যে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এতে ইজিবাইক চালক তাদের নেমে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ভুইগড় কড়ইতলা এলাকায় যাওয়া মাত্র স্ত্রী তার স্বামীকে ধাক্কা দেয়। এসময় স্বামী লিংক রোডে পড়ে কাভার্ড ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তখন দ্রুত স্ত্রী পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে কাভার্ড ভ্যানটি আটক করা হয়েছে। চালক পালিয়ে গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে নিহতের পরিচয় জানা গেছে। তার স্ত্রী এখনো পলাতক রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তার পরিচয় জানানো সম্ভব হচ্ছে না। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার