বগুড়ার সদর উপজেলার মাটিডালি এলাকায় চাঞ্চল্যকর সফিউল ইসলাম হত্যা মামলায় তিন মাস পর গ্রেফতার পাভেল জিলাদার (২৩) নামে এক যুবক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রবিবার সকালে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক নিশ্চিত করে জানান, শনিবার বগুড়া সদরের সঞ্জিতা ইসলামের আদালতে ওই যুবক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফুলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঢাকার হাতিরঝিল থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার পাভেল শহরের ধরমপুর এলাকার মৃত আইনুল জিলাদারের ছেলে। শনিবার আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে পাভেল জানান, মসলা কেনা নিয়ে বিবাদের জেরে তিনি ও তার মহল্লার কিছু বন্ধু মিলে সফিউলকে হত্যা করেন।
সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, গত এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে শহরের মাটিডালী এলাকায় সফিউল ইসলাম (৩৫) মেইন রাস্তার সঙ্গে নিজ বাড়ির পাশে রাস্তার ওপর ছুরিকাঘাত হত্যা করে দুর্বত্তরা। হত্যার শিকার সফিউল শহরের রাজাবাজারে একটি মুদি দোকানে কাজ করতেন। পরের দিন নিহতের মা সুরাইয়া আক্তার পারুল বেওয়া বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
তিনি বলেন, প্রথমে বিষয়টি ক্লু লেস থাকলেও ঘটনার সঙ্গে জুড়ে থাকা স্থানগুলোর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা নিশ্চিত হেই পাভেল এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তবে ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক থাকায় আমরা তাকে গ্রেফতার করতে পারছিলাম না। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করি।
বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল ও মিডিয়া মুখপাত্র) ফয়সাল মাহমুদ জানান, গ্রেফতার পাভেল হত্যায় জড়িত থাকার কথা শনিবার আদালতে স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি জড়িত বাকিদের নামও জানতে পেরেছি। তবে তদন্তের স্বার্থে তা এখন প্রকাশ করছি না। দ্রুত তাদেরও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ