বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজলার অধিকাংশ ইউনিয়নে নৌকার বিপরীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে নেমে পড়ায় বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছে দলটির জেলা উপজেলার নেতারা। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের ১৪টিতেই নৌকার বিপরীতে মাঠে রয়েছেন নমিনেশন বঞ্চিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এ অবস্থায় কোন কোন ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবিসহ দলের মধ্যে সংঘাত, সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা ও জেলা নেতৃবৃন্দ মাঠে নেমেছেন। নৌকার জয় নিশ্চিত করতে বলইবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলের ১৭ জন নেতাকর্মীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর এখানে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে আজ বুধবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এমদাদুল হক বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত ও নিজ অঙ্গিকার লঙ্ঘন করে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার অপরাধে মোরেলগঞ্জে ১৭ জন নেতাকর্মীকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে বলইবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খ.ম লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেনও রয়েছেন। কেন্দ্রেীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলা নেতৃবৃন্দের নির্দেশনায় ওই বিদ্রোহী ১৭ প্রার্থীকে সাময়ীকভাবে বহিষ্কারে আদেশ দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া সাময়িকভাবে অপর বহিস্কৃতরা হচ্ছেন, হোগলাপাশা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম নান্না। একই ইউনিয়নে ইলিয়াস হোসেন ও ফরিদুল ইসলাম। তেলিগাতী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। পঞ্চকরণ ইউনিয়নে অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম বাবুল। পুটিখালীতে মাহবুবুর রহমান শিকদার। রামচন্দুপুর ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির। চিংড়াখালীর হুমায়ুন কবির ও কামরুজ্জামান মিঠু। বণগ্রাম ইউনিয়নে জয়দেব পাইক। হোগলাবুনিয়ায় যুবলীগ আহ্বায়ক শামীম আহসান পলাশ। বহরবুনিয়ায় তালুকদার মোস্তাফিজুর রহমান। জিউধরায় যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান, বারইখালীতে আউয়াল খান মহারাজ ও মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা জহিরুলইসলাম মধু।
এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ভূইয়া হেমায়েত উদ্দিন বলেন, নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কেউ আওয়ামী লীগ করতে পারবে না। নির্বাচনের পূর্বে যদি বিদ্রোহীরা দলীয় প্রার্থীর মঞ্চে ওঠে তাহলে তাদেরকে দলে থাকার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। অন্যথায় তাদেরকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার