শিরোনাম
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৬:১৪

লাল শাপলার রাজ্য দাউদপুর

জাহাঙ্গীর আলম হানিফ, রূপগঞ্জ থেকে

লাল শাপলার রাজ্য দাউদপুর

রূপগঞ্জের দাউদপুরের লাল শাপলার বিল পিপাসা মেটাচ্ছে প্রকৃতি প্রেমীদের। রাজধানীর অতি নিকটে হওয়ায় নগর জীবনকে কিছুটা স্বস্তি দিতে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষ প্রতিদিনই ছুটে যাচ্ছেন সেখানে। প্রকৃতিকে আরও মোহনীয় করে তুলেছে লাল শাপলার লাবণ্য। এ যেন বাংলা মায়ের আঁচলে জীবন্ত হয়ে ওঠা নকশি কাঁথার মাঠ। দিগন্ত জুড়ে ফুটে আছে লাল শাপলা। সবুজ আর লালে তাই ভোরের জলজ গানে উড়াল দেয় পাখি ও মানুষের মন। শাপলার লাবণ্য ছুঁতে জলের সাথে মিতালী দর্শনার্থীদের। পুরো দাউদপুরই যেনো লাল শাপলার রাজ্য।

হানকুর সেতু পার হয়ে পূর্বে মিনিট দুই পর দেখা মিললো হানকুর নতুন শাপলা-পদ্মবিল রিসোর্ট। চোখ জুড়ানো নয়নাভিরাম শাপলা ফুল দেখে যে কারো চোখে ঘোর লেগে যাবে। বিলের পাশে বাঁশের মাচায় মাদুর পেতে বসেছিলেন মধ্যবয়সী জাহাঙ্গীর হোসেন। মাচায় বসেই কথা হয় তার সঙ্গে। পরিচয় জানতে চাইলে বলেন, শাপলা-পদ্মবিলের একজন মালিক। তারা কয়েকজন মিলে এ শাপলা বিল দেখভাল করেন। রমজান মৃধা হলেন তাদের প্রধান।

কথা প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুমে এখানে লাল শাপলা ফুটে। লাউয়াল বিল, আইড়াল বিল ও পুরাকুরা বিলের প্রায় ৯০০ বিঘা জমি জুড়ে শাপলা ফুলের চাদর বিছানো। লাল শাপলার পাশাপাশি ফোটে সাদা ও বেগুনি শাপলাও। তবে এর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।

তিনি বলেন, পর্যটকদের বিলে ঘুরানোর জন্য ৬টি নৌকা রয়েছে। এসব নৌকায় প্রতিঘণ্টায় ভাড়া হিসাবে ৩০০ টাকা গুণতে হয়।  

মাঝি মুক্তাকিন জানালেন, আগে এখানে সাদা ও বেগুনি শাপলা ফুটত। এখন আর দেখা যায় না। তিনি প্রায় ৫ বছর ধরে বিলটিতে এ রকম হাজার হাজার শাপলা ফুটতে দেখছেন। আগে তেমন পর্যটক আসতেন না। এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আনাগোনাও বাড়তে থাকল। ধীরে ধীরে নৈঃশব্দ ভাবটা উবে যায় পর্যটকদের বিচরণে।
 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর