ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনায় আটক পৌর কাউন্সিলর রেজাউল হাসান লাবুকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দিয়েছে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ।
শুক্রবার গভীর রাতে পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদসহ তার পরিষদের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর উপস্থিত হয়ে মুচলেকা দিয়ে তাকে থানা থেকে নিয়ে আসেন মেয়র।
কাউন্সিলর লাবুকে আটক করার খবরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে থানার সামনে তার সমর্থকরা আধাঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ করে। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, রাতে পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ মুচলেকা দিয়ে তার জিম্মায় পৌর কাউন্সিলরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। যে কোন সময় পুলিশ চাইলে ওই কাউন্সিলরকে থানায় হাজির করতে বাধ্য থাকবে মেয়র। প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, এখনও কোন অভিযোগ পাইনি।
উল্লেখ্য, পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা করেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর ছোট ভাই পৌর কাউন্সিলরের নেতৃত্বে তাদের কর্মীরা। এতে বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জুয়েল মৃধাসহ ১০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের লোহালিয়া খেয়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে জুয়েল মৃধাসহ ৫ জনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পটুয়াখালী পৌর সভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কবির তালুকদারের ছোট ভাই রেজাউল হাসান লাবুকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় লোহালিয়া এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন