দেশের উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একমাত্র সরকারি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ১০তলা বিশিষ্ট ছয়টি আবাসিক হল চালু করা হয়েছে। এ নিয়ে জাবিতে মোট ২১টি আবাসিক হল রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেখানে ছাত্রছাত্রী উভয়ের জন্য রয়েছে সমান সুযোগ-সুবিধা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শাখার তথ্য মতে, জাবিতে বর্তমানে ২১টি আবাসিক হলে সর্বমোট ১৪ হাজার ৩৭৯টি আসন রয়েছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ১৪ হাজার। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রছাত্রীরা পূর্ণাঙ্গ আবাসিক সুবিধা পাচ্ছে। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে জাবিতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মোট ১ হাজার ৮৮৮ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও জাবির কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা। ইতোমধ্যে ভর্তিকৃত সব শিক্ষার্থীর শতভাগ আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা বলেন, ‘২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সব নবীন শিক্ষার্থীর আসন নিশ্চিত করতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত সব হলের প্রভোস্টরা জানিয়েছেন নবীন শিক্ষার্থীদের সিট পেতে কোনো সমস্যা হয়নি। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ বরাদ্দকৃত সিটে উঠেছে। এর মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ আবাসিক সুবিধার ক্যাম্পাস হিসেবে প্রমাণিত হলো। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আমরা চাই, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে ক্যাম্পাসের সুনাম বয়ে আনুক।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী সাবিদ আবদুর রহমান বলেন, ‘আমি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে উঠেছি। এতদিন জাবি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক ক্যাম্পাস বলে শুনেছি। আজ তা নিজে প্রমাণ পেলাম। প্রথমদিনে এসে হলে সিট পাওয়া আমার জন্য সৌভাগ্যের। এর জন্য আমি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করব, শতভাগ আবাসনের এ সুবিধা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’ তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের আশ্রয়ে কৃত্রিমভাবে আবাসিক সংকট তৈরি করে রাখা হতো। বিভিন্ন দলীয় অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা হলের কক্ষ দখলে রেখে এ সংকট সৃষ্টি করত বলে অভিযোগ তাদের। এ ছাড়া, ছাত্রত্ব শেষ হলেও অনেক শিক্ষার্থী অবৈধভাবে হলে অবস্থান করাকে আবাসিক সংকটের জন্য দায়ী বলে মনে করছেন তারা। এ বিষয়ে প্রশাসনের কড়াকড়ি আরোপ ও সদিচ্ছার দরকার বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ আবাসনের এ সুবিধা শিক্ষার্থীরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাওয়ার কথা। কিন্তু অর্ধশত বছর পরও সেটা নিশ্চিত হয়নি। গত ১৬-১৭ বছরে গণরুম-গেস্টরুমের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল। কিন্তু এসবের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। জুলাই গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় আমরা শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে পেরেছি। এর জন্য আমরা আনন্দিত। আমরা চেষ্টা করব ভবিষ্যতেও যেন এ ধারা অব্যাহত থাকে। এর জন্য সবার সহযোগিতা দরকার।’
শিরোনাম
- শ্রীলঙ্কাকে ৪-০ গোলে হারিয়ে সেমিতে বাংলাদেশ
- বিনিয়োগকারীরা নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন : আমীর খসরু
- পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৯ কর্মকর্তাকে বদলি
- ভারতের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান
- অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ়ে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সমঝোতা স্মারক সই
- অনুমতি ছাড়াই এক বছর অনুপস্থিত থাকায় ইবি অধ্যাপক চাকরিচ্যুত
- রাবিতে পোষ্য কোটা স্থগিতই থাকছে
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের আসতে হবে: এ্যানি
- নেটফ্লিক্সে ঝড় তুলেছে আরিয়ান খানের ‘দ্য ব্যা***ড**স অব বলিউড’
- ইউএফটিবি-তে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু
- রাজবাড়ীতে শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
- বাগেরহাটে আবারো ১০ নির্বাচন অফিসে অবস্থান ধর্মঘট, বিক্ষোভ
- সাড়া ফেলেছে আইফোন ১৭, উৎপাদন বাড়াচ্ছে অ্যাপল
- চট্টগ্রামে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
- ফের গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা
- মাদারীপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নারী নিহত, আহত ২
- এক ম্যাচে ৯৯ চার ও ১২ ছক্কা, ৭৮১ রান
- সরানো হলো জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমানকে
- চট্টগ্রামে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে চালক নিহত
- ভারত ম্যাচের আগে পাকিস্তান দলে মনোবিদ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
পূর্ণাঙ্গ আবাসিক সুবিধার বিশ্ববিদ্যালয়
রুবেল হোসাইন, জাবি
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর