রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান ও সচিব না থাকায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। উত্তরপাড়া গ্রামের গর্ভবতী নারী জিয়াসমিন বেগম (৩১) দরকারি জন্মনিবন্ধন সনদ পেতে বহুবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। প্রশাসক ও সচিবের রুমের দরজা বন্ধ থাকায় তিনি হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন।
এ ধরনের সমস্যা শুধু জিয়াসমিনের নয়। প্রতিদিনই জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, ভাতার আবেদন বা জমিজমা সংক্রান্ত কাজ বন্ধ থাকে। স্থানীয়রা একাধিকবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো সমাধান হয়নি।
গত রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোগান্তি প্রতিকার চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা ইউনিয়নের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, চেয়ারম্যান না থাকায় প্রশাসক ও সচিবের অনুপস্থিতিতে গ্রাম আদালত ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, সালিস বন্ধ হয়ে গেছে এবং সমাজে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত একজন প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।
চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা রেশমা বেগম জানান, চেয়ারম্যান চলে যাওয়ার পর থেকে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসক নিয়মিত অফিসে আসেন না, সচিবের বদলিও নাগরিকদের ভোগান্তি আরও বাড়িয়েছে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারিয়া হক বলেন, “চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নেই। প্রশাসক হিসাবে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। নতুন সচিব শিগগিরই যোগদান করবেন। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক