এশিয়া কাপে আরও একটা ফাইনাল খেলার আশা এবার করতেই পারেন লিটন দাসরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ উইকেটের দারুণ জয়ে সুপারফোরের লড়াই শুরু করেছে বাংলাদেশ। সামনে আছে ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচ। এ দুই ম্যাচের একটাতে জিতলেই ফাইনাল খেলতে পারে টাইগাররা। অধিনায়ক লিটন দাসও ফাইনালে চোখ রেখেই সামনের পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর অধিনায়ক লিটন দাস বলেছেন, ‘রান তাড়া করে এমন একটা জয়ের পর আমরা পরের ম্যাচের জন্য অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। সামনের ম্যাচেও আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’ ভারতের বিপক্ষে গত এশিয়া কাপে দারুণ এক জয় পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসানরা। এবারেও কি জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারবে টাইগাররা? ভারতের বিপক্ষে জিতলে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ। গত এশিয়া কাপেও ফাইনাল খেলার সুযোগ ছিল। তবে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গিয়েছিল টাইগাররা। লঙ্কানদের করা ২৫৭ রানের বিপরীতে বাংলাদেশ করেছিল ২৩৬ রান। সেই পরাজয়ের দারুণ একটা প্রতিশোধ চলতি এশিয়া কাপে নিয়ে নিয়েছেন লিটন দাসরা। সামনে অবশ্য কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য। বুধবার ভারতের মুখোমুখি হবেন লিটনরা। বৃহস্পতিবারই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে হবে। টানা দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্যই প্রস্তুতি নিতে হবে টাইগারদের। ফাইনালে চোখ রেখেই বাংলাদেশ সামনের দুটি ম্যাচের প্রস্তুতি নিবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচসেরা সাইফ হাসান বলেছেন, এবার ফাইনাল খেলার আশা করতেই পারে বাংলাদেশ। লিটন দাস বাংলাদেশ ছাড়ার আগেই কথা দিয়ে গিয়েছিলেন ফাইনালের। শিরোপার স্বপ্নও দেখিয়েছিলেন অধিনায়ক। সে স্বপ্ন পূরণের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে তার দল।
এশিয়া কাপে ২০১২ সালে প্রথমবার ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। মিরপুর স্টেডিয়ামে সেবার ওয়ানডে ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে হেরে যায় টাইগাররা। সেই ফাইনালে পরাজয়ের পর মুশফিক-সাকিবদের সঙ্গে কেঁদেছিল পুরো বাংলাদেশ। এরপর ২০১৬ সালে মিরপুর স্টেডিয়ামে ফের এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে নামে টাইগাররা। প্রতিপক্ষ ভারত। টি-২০ ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে বৃষ্টিবিঘ্নিত ফাইনাল হয়েছিল ১৫ ওভারের। বাংলাদেশ ১২০ রান করে ৫ উইকেটে। জবাবে ১৩.৫ ওভার খেলে ১২২ রান করে জয় তুলে নেয় ভারত। আবারও এশিয়াসেরা হওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। দুই বছর পর ২০১৮ সালে আরব আমিরাতে ফের ফাইনালে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। বাংলাদেশ ২২২ রানে অলআউট হয়। ভারত পুরো ৫০ ওভার খেলে করে ২২৩ রান। অল্পের জন্য এবারেও আশা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। টানা তিনবার ব্যর্থ হওয়ার পরও আশা ছাড়েনি টাইগাররা। প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশায় খেলতে যায় বাংলাদেশ। ২০২২ সালে গ্রুপ পর্ব খেলেই বিদায় নেন সাকিব আল হাসানরা। ২০২৩ সালে সুপারফোর খেললেও ফাইনাল খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে ছেলেরা এখনো চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। তবে মেয়েরা এশিয়া কাপ জয় করেছে ২০১৮ সালে। এবার কি লিটনরাও উপহার দিতে পারবেন এশিয়া কাপের ট্রফি?