পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রয়ে কার্ড নবায়নের নামে টাকা ও চাল বিক্রয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের দায়ে এক ডিলারকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সুলায়মান বাদশা নামের ওই ডিলার দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে শিলাইকুঠি বাজারে অভিযানকালে চাল বিক্রয়ের সময় উপকারভোগীদের নিকট হতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী এই জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ চন্দ্র সাহা।
এ সময় ঘটনাস্থল হতে উপকারভোগীদের তালিকা ও আদায়কৃত অর্থসমূহ জব্দ করে সংশ্লিষ্ট উপকারভোগীদের মাঝে আদায়কৃত অর্থ ফেরত প্রদানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ সচিবকে দায়িত্ব প্রদান করেন। সুলায়মান বাদশা দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে এই ইউনিয়নে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছিলেন। তিনি কাটা পাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিব উদ্দিন সরকারের ছেলে।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন মডেল থানার ওসি আবু ছায়েম মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান তারেক হোসেন।
উপকারভোগীরা অভিযোগ করেন কার্ড নবায়নের নামে কার্ড প্রতি এক’শ টাকা আদায় করছেন সোলাইমান বাদশা। তারা অভিযোগ করেন ওই ডিলার পুরাতন কার্ড রেখে নবায়নের কথা বলে একশ টাকা নেন। তাই বাধ্য হয়েই টাকা দিচ্ছি। কার্ড নবায়নের নামে টাকা আদায় বন্ধের দাবী জানান ভুক্তভোগীরা। এ কর্মসূচির আওতায় উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে ২৪০ জন উপকারভোগী রয়েছেন।
এ বিষয়ে বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ডিলার সুলায়মান বাদশা কার্ড নবায়নে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার নির্দেশে টাকা আদায় করেছি। টাকা আদায়ের নির্দেশ করে আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহুরুল হক বলেন, কার্ড নবায়নে কোন টাকা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়নি। কোন ডিলার যদি টাকা আদায় করে থাকেন, সত্যতা সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় কোন উপকারভোগীর কাছ থেকে কার্ড নবায়নের নামে টাকা ও চাল বিক্রয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না।
বিডি প্রতিদিন/এএম
