কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে এক পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহত রুবি আক্তারের মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে বাংগরা বাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আকুবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহ শিমুলসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২৫ ব্যক্তিসহ ৬৩জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে সেনাবাহিনী ও র্যাবের পৃথক অভিযানে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংগরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান এই তথ্য জানান। এদিকে এখনও এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আদিল শাহরিয়ারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল আকুবপুর ইউনিয়নের পীরকাশিমপুর গ্রামের মো. নাজিম উদ্দীন বাবুল এবং মো. সবির আহমেদ নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে। আটক দুইজন হত্যা মামলার ১৮ ও ১৯ নং আসামি। অন্যদিকে র্যাব-১১ এর পৃথক অভিযানে ঢাকা থেকে আরোও ৬ জন আসামিকে আটক করার কথা জানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কড়ইবাড়ি গ্রামে মোবাইল ফোন চুরি সন্দেহে স্থানীয়রা একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করে। নিহত তিনজন হলেন- কড়ইবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা বেগম ওরফে রুবি (৫৩), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকি (২৯)। এছাড়া পরিবারের আরেক সদস্য রুমা আক্তার (২৮) গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, নিহত পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। নিহত রুবি এবং তার পরিবারের সদস্যদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতো না। মোবাইল ফোন চুরিকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হলেও দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে এ সহিংসতার বিস্ফোরণ ঘটেছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল