২৬ নভেম্বর, ২০২১ ২২:২৫

চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়িতে গুলি, ভাঙচুরের অভিযোগ

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি


চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়িতে গুলি, ভাঙচুরের অভিযোগ

চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুনুর রশিদ মামুনের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে ইউনিয়নের ইসলাম নগর এলাকার পশ্চিম ষ্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নির্বাচনী গণসংযোগকালে প্রতিদ্বন্দ্বি অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আফজালুর রহমান চৌধুরীর লোকজন এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুনুর রশিদ মামুন। 

গুলিবর্ষণ পরবর্তী হামলাকারীরা চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়িও ভাঙচুর এবং গাড়ি চালককে মারধর করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।  

চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, শুক্রবার বিকেলে ইসলামনগর পশ্চিম ষ্টেশনে তিনি নির্বাচনী প্রতীক ফ্যান মার্কার সমর্থনে গণসংযোগ করছিলেন। ওই সময় হঠাৎ করে প্রতিদ্বন্দ্বি অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আফজালুর রহমান চৌধুরী ও তার ভাই রুবেল দলবল নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে আমার গাড়ির পেছনে দুই রাউন্ড গুলি করে। এক পর্যায়ে তারা গাড়িতে ভাঙচুরও চালায়। ঘটনার সময় গাড়ির চালক ঘটনাটি মোবাইলে ধারণ করতে চাইলে তারা চালককে মারধর করে।

তিনি বলেন, ঘটনাটি তাৎক্ষনিক সহকারি পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) ও থানার ওসিকে অবহিত করেছেন। সন্ধ্যায় বিষয়টি রির্টানিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। 

অপরদিকে ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আফজালুর রহমান চৌধুরী বহিরাগত সন্ত্রাসীদের জড়ো করে ভোট কেন্দ্র দখল, গুলিবর্ষণের মাধ্যমে সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বানচাল করার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন। 
তিনি দাবী করেন, ইতোমধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী আফজাল ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে নির্বাচনী এলাকায় ভীতিকর অবস্থায় সৃষ্টি করছেন। ভোটের দিন আফজাল ছাড়াও তার ডামি চেয়ারম্যান প্রার্থী তহিদুল ইসলাম ও জুয়েল ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট দেয়ার নামে কেন্দ্র দখলের পাঁয়তারা করছেন। পাশাপাশি নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ফলাফল কারচুপির পরিকল্পনা নিয়েছেন। 

এ অবস্থায় কৈয়ারবিলের সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য আমি প্রশাসনের কাছে আহবান জানাচ্ছি। একই সাথে ভোট গ্রহণের পর ফলাফল প্রতিটি কেন্দ্রে ঘোষণার দাবী জানাচ্ছি। 

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, কৈয়ারবিল ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করা হয়। তবে গুলিবর্ষণের ঘটনাটি ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
 
বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর