মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস টেকনিক্যালি দুইজনেই দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান। কিন্তু টি-২০ বিশ্বকাপে ছন্দহীন হয়ে পড়েন দুই ব্যাটসম্যান। তাদের ছন্দহীন ব্যাটিংয়ের প্রভাব পড়ে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে। টি-২০ বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের জন্য চলতি পাকিস্তান সিরিজ থেকে বাদ পড়েন তারা। কিন্তু টেস্ট সিরিজে নির্বাচক প্যানেল আস্থা রাখেন দুইজনের ওপর। তার প্রতিদানও দেন লিটন ও মুশফিক। খাঁদের কিনারায় থাকা দলকে দুইজনে রেকর্ড জুটি গড়ে নিয়ে যান শক্ত অবস্থানে।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে দুইজনের অবিচ্ছিন্ন ২০৪ রানের জুটিতে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে ২৫৩ রান করে বাংলাদেশ। তবে আলোক স্বল্পতার কারণে বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম টেস্টের প্রথম দিন ৫ ওভার খেলা কম হয়। এ জন্য আজ শনিবার দ্বিতীয় দিন খেলা শুরু হয় ১১ মিনিট আগে। মুশফিকুর রহিম ৮২ ও লিটন কুমাস দাস ১১৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন। তবে দ্বিতীয় দিন হাসান আলীর দারুণ বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি টাইগাররা। ৪ উইকেটে ২৫৩ রান নিয়ে দিন শুরু করে স্বাগতিকরা অলআউট হয় ৩৩০ রানে।
হাসান আলী একাই নেন ৫ উইকেট। দিনের শুরুতেই সেঞ্চুরিয়ান লিটন ফেরেন হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। অল্পসময়ের ব্যবধানে অভিষিক্ত ইয়াসিরও শিকার এই পেসারের। এরপর মুশফিক ফেরেন ফাহিম আশরাফের বলে। দলের হাল ধরেন তাইজুল-মেহেদি। তাইজুলকে বেশিদূর যেতে দেননি শাহীন আফ্রিদি। এবার রাহীকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে থাকেন মেহেদি। রাহীও সঙ্গ দিচ্ছিলেন ভালোই। কিন্তু হাসানের এক ওভারে সব তছনছ হয়ে যায়। পরপর রাহী ও নতুন ব্যাটসম্যান এবাদতকে ফেরান সাজঘরে।
তবে স্বীকার করতেই হবে যে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনটি বাংলাদেশের। প্রথমদিনে হাসান আলি, শাহিন শাহ আফ্রিদিদের আগুন ঝরা বোলিং যেভাবে মোকাবিলা করেছে মুশফিক ও লিটন দাস তা প্রশংসার দাবি রাখে। আর সেই প্রশংসা পাওয়া গেল পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হকের কাছ থেকেও।
ব্যক্তিগত ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ইনজামাম বললেন, পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে দ্রুত চারটা উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, বুক চিতিয়ে লড়ছে, তাতে তাদের প্রশংসা করতেই হয়।
এসময় পাকিস্তানি বোলারদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমি মনে করি, ইয়াসির শাহর সার্ভিসের শূন্যতা ভুগিয়েছে পাকিস্তানকে। আমি জানি না, সে কেন খেলছে না। কিন্তু আমার মনে হয়, পেসাররা শুরুতে নতুন বলে উইকেট নেওয়ার পর দারুণ কার্যকরি হয়ে উঠতে পারত সে। আর বর্তমানে যে স্পিনার আছে দলে, সেই নুমান (আলি), সাজিদ খানদের অভিজ্ঞতার অভাব আছে। পাকিস্তান তাদের একাদশে শাদাব খানকে রাখার কথা ভেবে দেখতে পারত।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত