৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:১৫

যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূর হাত কর্তন; ৪ ভাইয়ের কারাদণ্ড

শেরপুর প্রতিনিধি

যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূর হাত কর্তন; ৪ ভাইয়ের কারাদণ্ড

শেরপুরে এক গৃহবধূকে যৌতুক না পেয়ে হাতের কবজি কেটে ফেলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ওই গৃহবধূর স্বামীসহ চার সহোদরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রবিবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. আখতারুজ্জামান জনাকীর্ণ আদালতে সকল আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এ খবর নিশ্চিত করেছেন স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু।

রায়ে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনে গুরুতর জখমের দায়ে গৃহবধূর স্বামী লিটন মিয়াকে (২৮) ১২ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ভিকটিমকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই নারীকে নির্যাতনে সহায়তা ও আঘাতের দায়ে লিটন মিয়ার সহোদর তিন ভাই রিপন মিয়া (৩৮), উজ্জল মিয়া (৪৫) ও নুর ইসলামকে (৫০) তিন বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য আদেশ দেওয়া হয়। আদেশ অনুযায়ী, ক্ষতিপূরণের টাকা ভিকটিম ও তার শিশু সন্তান লুৎফা (৩) পাবে। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় লিটন মিয়ার আত্মীয় শফিকুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০১৭ সালের মাঝামাঝি দিকে শেরপুর সদর উপজেলার বাদাতেঘরিয়া গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার মেয়ে কুলসুম বেগমের বিয়ে হয় ঝিনাইগাতী উপজেলার কসাইপাড়া এলাকার কসাই কুদরত আলীর ছেলে লিটন মিয়ার সাথে। বিয়ের পরপর লিটন স্ত্রীর কাছে যৌতুক চায় এবং নির্যাতন চালাতে থাকে। ২০১৮ সালের ১৩ জুন বিকেলে যৌতুকের টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে লিটন মিয়া তার ভাইদের নিয়ে চার মাসের অন্তঃসত্তা গৃহবধূ কুলসুম বেগমের উপর নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে লিটন চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রীর ডান হাত কবজিসহ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।

এ সময় তার তিন ভাই দা, ছুরি দ্বারা ভিকটিমকে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। চিকিৎসা মেষে ৩ জুলাই গৃহবধূ বাদী হয়ে স্বামী লিটন মিয়া এবং তার চার সহোদর ভাই ও আত্মীয় শফিকুল ইসলামকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর